২০১২ সালে নিজে দেখেশুনে বাড়িতে বউ এনেছিলেন বাসুদেব। কিন্তু, স্ত্রী এবং মায়ের সেভাবে কোনওদিন বনিবনা হয়নি। সেই সম্পর্কে একটাই তিক্ততা এসেছিল যে স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যান। এরপর আর আইনিভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আর একসঙ্গে থাকেন না তাঁরা।
বাসুদেব বলেন, ‘আমার পরিবারে সকলেই খুব খুশি এই বিয়েতে। তবে মা মেনে নিতে পারেননি। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই আমার মত বদল হয়। ওর সঙ্গে আমার মায়ের খুব একটা বনিবনা হত না। এই বিয়েটা আমার মা মেনে নেয়নি। তবে আমার খুব একটা যায় তাতে আসে না।’
স্ত্রীর সঙ্গে আপাতত যোগাযোগ না থাকলেও লিখিতভাবে ছাড়াছাড়ি হয়নি। রেজিস্ট্রি বিয়েও সেই অর্থে হয়নি। বাসুদেব বলেন, ‘গত দুই বছর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তার আগে নয় মাসে ছয় মাসে একবার যেতাম। দুর্গাপুজোয় কাপড়ও দিতাম। এই সময়ই আমার জীবনে অমিত আসে। তবে এখন আর আমি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না।’
ভবিষ্যতে অমিত চাকরি করতে চান। তাঁর সঙ্গেই বাসুদেব সংসার করার কথা ভাবছেন। তিনি জানাচ্ছেন, তাঁরা শীঘ্রই সন্তান দত্তক নিতে চলেছেন। বাসুদেবের কথায়, গত দুই বছর ধরে এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। এরপরেই সিঁদুর পরিয়ে তাঁদের বিয়ে হয়।
বাসুদেব বলেন, ‘নাকে সিঁদুর পড়েছে কিনা আমি ঠিক খেয়াল করিনি। তবে ও আমাকে ভালোবাসে। আমি এই বিষয়টা নিয়ে আর আলাদা করে কোনও মন্তব্য করব না।’
বাসুদেব জানান, তিনি শীঘ্রই অমিতকে নিয়ে যাবেন তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তাঁদের প্রতিবেশীরা প্রীতিভোজের জন্য় আয়োজন করেছেন। চাঁদা তুলে তাঁদের বিয়ের জন্য খাওয়ানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত তাঁরা দুই জনেই রয়েছেন শহর কলকাতাতে।