পর্ষদ সূত্রের খবর, শিক্ষকের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে হাওড়ায়। স্থানীয় প্রশস্থ দুর্লভচন্দ্র সাহা বিদ্যাপীঠে এবার সিট পড়েছে ওই জেলার নিবড়া হাইস্কুলের মাধ্যমিক পড়ুয়াদের। এদিন, ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষার সময়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী শৌচাগারে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় ইনভিজিলেটর কাশীনাথ জানা নিজেই বাথরুমের সামনে হাজির হন।
তিনি শৌচাগারের দরজায় ঠেলাঠেলি করলে পরীক্ষার্থীরা দলবেঁধে বেরিয়ে এসে শিক্ষককে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে কাশীনাথে পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করলে জানা যায় হাত ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের হাত ভাঙার খবর পেয়েছি। বোর্ডের পরীক্ষা বিধি অনুযায়ীই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাশাপাশি শিলিগুড়ির নন্দপ্রসাদ হাইস্কুলের শৌচাগারে ভাঙচুর চালায় পরীক্ষার্থীদের একাংশ। একই ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম গার্লস হাইস্কুলে। সেখানে সিট পড়েছিল জেলার এপিসি বিদ্যায়তন ফর গালর্সের। দুটি ক্ষেত্রেই পার্টিসিপেশন স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি না মেটালে সংশ্লিষ্ট স্কুলের রেজাল্ট উইথহেল্ড থাকবে। শনিবারই মালদার তুলসীহাটা হাইস্কুলে প্রশ্নপত্র ছিড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের শৌচাগারে নিয়ে যাওয়ার কারণে এক পরীক্ষার্থীকে আরএ করা হয়েছে।
এদিন মালদার পাঁচকড়িতলা হাইস্কুল ও জলপাইগুড়ির বানারহাট আদর্শ বিদ্যামন্দিরের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোবাইল সহ দুই পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়ে। মালদার পাঁচকড়িতলা হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আরও একজন প্রার্থীর থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিন থেকেই এ বার পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকার সময়ে হাতে নাতে ধরে ফেলেন ইনভিজিলেটররা।
মালদা ছাড়াও কলকাতা, দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের একাধিক কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। মালদার এক স্কুলের অভিভাবকরা এদিন দাবি জানান, পরীক্ষা তো শেষ হয়ে গেল, এবার ফোনগুলো তো ফেরত দিন!