রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বোর্ড মিটিং। সেখানে আলোচনার পর একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলায় রোগী দেখতে গেলে এবার অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন। কারণ দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্য থেকে বহু চিকিৎসক বাংলায় আসছেন এবং এখানে এসে তাঁরা প্র্যাকটিস করছেন। তাঁদের চিকিৎসা নিয়ে যদি কোনও অভিযোগ করা হয় সেক্ষেত্রে এই রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। কারণ তাঁদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর অন্য রাজ্যের।
তাই এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কোনও পদক্ষেপ করা যায় কিনা আলোচনা চালাচ্ছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনাও হয়। তারপরেই নেওয়া হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য কৌশিক বিশ্বাস জানান, সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করা এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া,চিকিৎসদের ক্ষেত্রে যদি কেবলমাত্র অন্য রাজ্য়ের রেজিস্ট্রেশন থাকে সেক্ষেত্রে তা চলবে না। বরং তাঁদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই সেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে সমস্ত দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ করার ক্ষমতা কাউন্সিলের হাতে থাকবে। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বিখ্যাত প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বাণীকুমার মিত্র। তাঁর বিরুদ্ধে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এরপরেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করে কাউন্সিল। যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হয় এবং তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করা হয়।