ছুটি কম, কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে ষোলআনা! তাও আবার দুর্দান্ত জায়গায়! পর্যটকদের এই চাহিদার মেটাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে তৈরি হয়েছে তিনটি ট্যুরিস্ট সার্কিট। সেখানে কী কী আকর্ষণ রয়েছে? কী ভাবেই বা পৌঁছনো যাবে সেই ভ্রমণ ডেস্টিনেশনে? রইল খুঁটিনাটি।

একাধিক ‘ট্যুরিস্ট স্পট’ বা ভ্রমণমূলক স্থান নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ট্যুরিস্ট সার্কিট’। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে যাতে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও অন্যতম ডেস্টিনেশন তৈরি করা যায়, সেই জন্যই এই উদ্যোগ। পর্যটনের দিক থেকে চিন্তা করে পশ্চিম মেদিনীপুরকে তিনটি সার্কিটে ভাগ করা হয়েছে-নেচার সার্কিট, হেরিটেজ সার্কিট, রিলিজিয়াস অ্যান্ড কালচারাল সার্কিট।

নেচার সার্কিট

প্রথমেই আসা যাক নেচার সার্কিট প্রসঙ্গে। যেখানে দূর দূরান্ত পর্যন্ত চোখ গেলেই সবুজ আর সবুজ, প্রকৃতির রূপকে একসুতোয় বেঁধে এই সার্কিট তৈরি হয়েছে। মূলত গনগনি, ধাধিকা জঙ্গল, শিরোমণি গড়, গোপীগড় ইকো পার্ক, গুড়গুড়িপাল ইকো পার্ক, অরবিন্দ শিশু উদ্যান, ক্ষুদিরাম ইকো পার্ক, অনিকেত ড্যাম, ইজলি ইকো পার্ক, সুবর্ণরেখা নদী এবং প্রত্যুষা পার্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সার্কিট। যাঁরা প্রকৃতির সৌন্দর্য কাছ থেকে উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য নেচার সার্কিট অন্যতম উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ হতে চলেছে।

হেরিটেজ সার্কিট

জেলার ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলিকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে হেরিটেজ সার্কিট। এর মধ্যে রয়েছে পাথরা, কুরুমবেলা দূর্গ, মোগালমারি, রাসমঞ্চ, হাওয়া মহল, নাড়াজল রাজবাড়ি, জলহারি, বীরসিংহ, মোহাবাণি, হিজলি জেল। ঐতিহাসিক স্থানগুলি নিয়ে যাঁদের আগ্রহ তাঁরা অল্প সময়ে ‘মহামূল্যবান’ সময় কাটাতে পারেন এই জায়গাগুলিতে।

তিনটি সার্কিটের ঠিকানা জানেন? (ছবি সৌজন্যে https://paschimmedinipur.gov.in/)

ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সার্কিট

পশ্চিম মেদিনীপুরের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সার্টিকের মধ্যে আসে কারনাগড় মন্দির, কারবালা মঠ, চন্দ্রকোনা গুরুদ্বার, নয়া পাতা গ্রাম, আদিবাসী মিউজিয়াম, সূর্যাস্ত্রের হাট, সেন্ট জন চার্চ।

কী ভাবে যোগাযোগ?

গনগনি থেকে শুরু করে মোহবণি সমস্ত জায়গায় যে কোনও সাহায্য়ের জন্য BDO-SDO-দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রইল তালিকা।

রইল যোগাযোগের তালিকা

কী ভাবে পৌঁছনো যাবে এই গন্তব্যগুলিতে?

কলকাতা থেকে এক বা দেড় দিনের ট্যুর করতে চাইলে ঘুরেই আসা যায় এই সমস্ত জায়গায়। কলকাতা থেকে ট্রেনে পশ্চিম মেদিনীপুরের দূরত্ব ১২৮ কিমির মতো। হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে পূর্ব মেদিনীপুর। এরপর সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে আড়াই ঘণ্টার মধ্য়ে পৌঁছনো যাবে পূর্ব মেদিনীপুর। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, আরণ্যক এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু ট্রেন গন্তব্য দিয়ে যায়। এছাড়াও গাড়িতে গেলে কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দূরত্ব ১৩২ কিলোমিটার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version