ভাই আবদার করেছিলেন। আবদার রাখলেন দিদি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি হোক কয়েক বছরের মধ্যেই। দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের জন্য অর্থ বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন ভাই দেব। সেই কথা হুগলি সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের মঞ্চ থেকেই ভাই দেবের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী দিদি।’

বাতাসে জল্পনা ঘুরছিল আজকেই, আরামবাগের সভা থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ব্যাপারে বড় ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দেবকে পাশে নিয়ে সেই ঘোষণা করলেন তিনি। রাজ্য সরকার নিজের খরচায় এবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। এদিনের মঞ্চেই নতুন এই ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালেন দেব অর্থাৎ ঘাটালের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী।

সভার শুরুতেই এদিন দেব বলে , ‘রাজনীতিতে এসেছিলাম দিদির হাত ধরে। রাজনীতির থেকে গেলাম দিদির হাত ধরে।’ এরপরে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে তাঁর সংযোজন, ‘আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণটা বলব কেন? আমি খুব পরিষ্কার কথা বলতে ভালোবাসি।’ এরপরেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরির আবদার করেন তিনি। দেব বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যেই আমি আবার ফিরলাম। দশ বছর ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়েছি। ওরা করেনি। যেই জিতুক, এটা যেন হয়। যেন রাজ্য সরকারের হাত ধরে এটা হয়। এইটুকু আমার আবেদন। আমার বিশ্বাস ২০২৪-এর পর রাজ্য সরকার সেটা করবে।’

আমি খুব পরিষ্কার কথা বলতে ভালোবাসি

দেব

প্রসঙ্গত, ঘাটালের সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী এবার আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, এরকমই একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে। তাঁর মনের কথা ‘ দিদিকে জানিয়েছেন’ বলে জানিয়ে দেন দেব। তবে জল্পনার অবসান হয় রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে।

Dev : ‘সারা জীবন রাজনীতি করতে চাই’, অবস্থান স্পষ্ট দেবের
সেই বৈঠকেই দীর্ঘদিন ধরে না হওয়া ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অভিযোগ জানান দেব। এই কাজ তিনি গতবারের সাংসদ হওয়ার আগে জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেটি সম্পন্ন না হওয়ায় তিনি যে অসন্তুষ্ট সেই কথা ব্যক্ত করেন। এরপরেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে এই প্রকল্প নিজের হাতে তুলে দেবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সেই কারণে বিস্তৃত বাঁধ নির্মাণের জন্যে কার্যত দুই জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলির জন্য এই প্রকল্পের কারণেই অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সর্বোপরি অংহগ্রহণেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংসদ দেব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version