এই সময়, নানুর: সন্দেশখালির দেখানো পথে হারানো জমি ফেরত পেতে বীরভূমের নানুর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন জমির মালিকরা। জমি ফেরত পেতে মঙ্গলবার হাতে দলিল ও পোস্টার নিয়ে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দলীয় কার্যালয়ে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান তাঁদের জমি লিখিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।ওখানে ‘মিলন মেলা’ করার নামে ৩০ জনের জমি জোর করে দখল করা হয় বলে আগেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়। যদিও তা অস্বীকার করেছেন আব্দুল কেরিম খান। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ। দলকে বদনাম করতে বালি মাফিয়াদের একাংশ মহিলাদের দিয়ে এই বিক্ষোভ করিয়েছে৷ আমরা নিয়মমতো জমি নিয়েছি। সবাই রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন।’

যদিও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘ওই অভিযোগের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আব্দুল কেরিম খানকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেননি৷ এই নিয়ে মামলাও চলছে৷’ নানুরের বাসাপাড়ায় প্রায় ৪৫ বিঘা জমির উপরে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে মিলনমেলা হয়। ৫-৬ বছর ধরে এই মেলার মূল উদ্যোক্তা বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা নানুরের তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান।

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাসাপাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই জমিতে বসত পাঁচ দিনের মেলা৷ অভিযোগ, গত বছর থেকেই মেলা কমিটির নামে মাঠের জমির দখল নিতে শুরু করে আব্দুল কেরিম খানের দলবল। তখন ওই জমির মালিকরা ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও সন্দেশখালির ঘটনার পরে বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত চেয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা।

এ দিন হাতে জমির দলিল ও পোস্টার নিয়ে বিডিও অফিসে বসে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন জমির মালিকরা।
বাসাপাড়ার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে আব্দুল কেরিম খান বাসাপাড়া তৃণমূল অফিসে আমার স্বামীকে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছিল৷ আমরা জমি ফেরত চাই। মেলার মাঠের নামে অধিগ্রহণ করা জমি ফেরত দিতে হবে৷’

Sandeshkhali Incident : জমির মালিকানা পেতেও হুমকি!

বাসাপাড়ার আর এক গ্রামবাসী মুয়াজ্জিন শেখ বলেন, ‘পুলিশ, বিডিও ও এসডিওকে অভিযোগ করেছি। মেলা বসিয়ে মুনাফা লোটে কেরিম খানের দলবল। আমাদের মাঠ ফেরত চাই।’ প্রসঙ্গত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। তাঁকে একাধিকবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version