এই সময়, আরামবাগ: আজ, শুক্রবার আরামবাগে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগ জুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আরামবাগের কালীপুরে স্পোর্টস কমপ্লেক্স ময়দানে তিনি সরকারি অনুষ্ঠান ও সভা করবেন। তাই একটি মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের তৎপরতাও এখন তুঙ্গে। এখান থেকে তিনি ভারতীয় রেল ও ইন্ডিয়ান অয়েলের কিছু প্রকল্প ঘোষণা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মঞ্চের পাশেই তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। থাকছে কড়া নিরাপত্তাও।বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আরামবাগ মহকুমার অত্যাচারের কথা বোঝাতে পেরেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভার আয়েজন করা হয়েছে সেখানে বাঁকুড়া মেদিনীপুর ও বর্ধমানের মানুষও আসতে পারবেন। বিজেপির দাবি, আরামবাগ লোকসভা আসনটি এ বার তারাই পাবে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল তৃণমূল ঝড়েও আরামবাগ মহকুমার চারটি আসনই শাসকদলের কাছ থেকে বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছিল।

এ দিকে, থমকে রয়েছে গোঘাটের ভাবাদিঘি রেল প্রকল্পের কাজ। এলাকার মানুষের দাবি, রেলও চাই, জলও চাই। আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সমস্যার জট কি মেটাতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী? এ সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে বহু মানুষই প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিশেষ করে ভাবাদিঘি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন—তা নিয়েই আগ্রহী ভাবাদিঘির বাসিন্দারা।

২০০৬ সালে তারকেশ্বর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত ৮২.৪৭ কিমি রেলপথের জরিপের কাজ শুরু হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের দিক থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত রেলের কাজ শুরু হলেও, গ্রামবাসীদের আন্দোলনে দীর্ঘদিন গোঘাটের ভাবাদিঘিতে রেলপথ নির্মাণের কাজ থমকে রয়েছে। ৫২ বিঘার ওই দিঘির একাংশ বুজিয়ে রেলপথ নির্মাণ হবে জানতে পেরে ২০১৫ সালে এক আন্দোলন করেছিলেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীদের দাবি, দিঘির উত্তরপাড় দিয়েই মাপ হয়ে অস্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা হয়।

Narendra Modi : মার্চের শুরুতেই বঙ্গে মোদী, আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে কবে কখন সভা? রইল সম্পূূর্ণ সফরসূচি

২০০৮ সাল নাগাদ জমি অধিগ্রহণ চলাকালীন তাঁরা জানতে পারেন দিঘির মাঝখান দিয়ে রেলের কাজ করা হচ্ছে। ২০১০ সালে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার নোটিস পাঠায়। তখন থেকেই ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’ গড়ে গ্রামবাসীরা আন্দোলন শুরু করেন। দিঘির মোট ২৬৮ জন অংশিদারের মধ্যে ১৭৭ জন ক্ষতিপূরণ নিলেও ৯১ জন নেননি বলে জানা গিয়েছে।

কমিটির দাবি, ভুল বুঝিয়েই তাঁদের চেক দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ভাবাদিঘি জটের সমাধান করে দিয়ে যান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version