এ দিকে, থমকে রয়েছে গোঘাটের ভাবাদিঘি রেল প্রকল্পের কাজ। এলাকার মানুষের দাবি, রেলও চাই, জলও চাই। আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সমস্যার জট কি মেটাতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী? এ সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে বহু মানুষই প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিশেষ করে ভাবাদিঘি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন—তা নিয়েই আগ্রহী ভাবাদিঘির বাসিন্দারা।
২০০৬ সালে তারকেশ্বর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত ৮২.৪৭ কিমি রেলপথের জরিপের কাজ শুরু হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের দিক থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত রেলের কাজ শুরু হলেও, গ্রামবাসীদের আন্দোলনে দীর্ঘদিন গোঘাটের ভাবাদিঘিতে রেলপথ নির্মাণের কাজ থমকে রয়েছে। ৫২ বিঘার ওই দিঘির একাংশ বুজিয়ে রেলপথ নির্মাণ হবে জানতে পেরে ২০১৫ সালে এক আন্দোলন করেছিলেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীদের দাবি, দিঘির উত্তরপাড় দিয়েই মাপ হয়ে অস্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা হয়।
২০০৮ সাল নাগাদ জমি অধিগ্রহণ চলাকালীন তাঁরা জানতে পারেন দিঘির মাঝখান দিয়ে রেলের কাজ করা হচ্ছে। ২০১০ সালে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার নোটিস পাঠায়। তখন থেকেই ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’ গড়ে গ্রামবাসীরা আন্দোলন শুরু করেন। দিঘির মোট ২৬৮ জন অংশিদারের মধ্যে ১৭৭ জন ক্ষতিপূরণ নিলেও ৯১ জন নেননি বলে জানা গিয়েছে।
কমিটির দাবি, ভুল বুঝিয়েই তাঁদের চেক দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ভাবাদিঘি জটের সমাধান করে দিয়ে যান।