এই সময়: আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’র ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীরাও একইদিনে ফোকাস করেছে সন্দেশখালিতে। বৃহস্পতিবারই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছেন যে, ১০ মার্চ তাঁরা সন্দেশখালিতে জনসভা করবেন। সিপিএম আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই একইদিনে তারাও সন্দেশখালিতে সভা করবে।শুধু সন্দেশখালি নয়, ১০ তারিখ রাজ্যের আরও ন’জায়গায় সভা করবে সিপিএম। ফলে আগামী ১০ তারিখ রাজ্য রাজনীতি যে সরগরম হতে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে একইদিনে বিজেপি এবং সিপিএমকে সন্দেশখালিতে সভা করার ছাড়পত্র প্রশাসন দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সেক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে বিজেপির।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। যাত্রাপথে একাধিকবার তাঁদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। কারণ, সন্দেশখালির ৪৯টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা লাগু হয়েছে। তাই অশান্তি এড়াতে বাইরে থেকে আসা কাউকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শুভেন্দু দাবি করেন, তাঁর কাছে আদালতের ছাড়পত্র আছে।

এরপর একটি কাগজে সই করিয়ে বিরোধী দলনেতার গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিশ। সন্দেশখালি পৌঁছে শুভেন্দু বলেন, ‘গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে। গোটা গ্রাম আমার সঙ্গে। ১০ তারিখ সন্দেশখালিতে বিজেপির বড় সভা হবে। আমি থাকব।’ এদিকে, এদিনই শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাত্রা সংক্রান্ত বিচারপতি কৌশিক চন্দের বুধবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়।

আবেদন উড়িয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আরও অনেক কাজ আছে। কে যাচ্ছে, কে যাচ্ছে না—আমরা ভাবছি না। মামলা দায়ের করুন। এখনই শুনানি করতে হবে তেমন কোন তাড়াহুড়ো নেই।’

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি বড় জনসভা করতে চলেছে সিপিএমও। ১০টি লোকসভা কেন্দ্রে বামেদের এই সভাগুলি হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সন্দেশখালি ছাড়া আর কোথায় কোথায় সভাগুলি হবে তা এখনও সিপিএমের তরফে ঘোষণা করা হয়নি। তবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, যাদবপুর, মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র এই তালিকায় রয়েছে।

Abhishek Banerjee : ‘…প্ররোচনা দিতে চাই না!’ সন্দেশখালি কবে যাবেন? ঘোষণা অভিষেকের

সেলিম বলেন, ‘আগামী ১০ মার্চ ১০ জায়গা সভা হবে। তৃণমূল জনগর্জন সভা করছে, ওই দিন মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করার ডাক দেবে।’ ১০ তারিখ নিয়ে বিরোধীদের তৎপরতা মধ্যে হাত গুটিয়ে বসে নেই তৃণমূলও। ওইদিন ব্রিগেডে রেকর্ড ভিড় করতে তৃণমূল পাঁচশোর বেশি প্রচার-সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে এই প্রচার-সভা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সভাগুলিতে ভাষণ দেওয়ার জন্য ৭০ জন বক্তার একটি তালিকা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত করে দিয়েছেন। এছাড়া রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় ব্রিগেডের সভার প্রচারের জন্য তৃণমূল ৬০ লক্ষ পোস্টার ছাপাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version