সোমবারই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১২ পার্বণের পর ১৩ নম্বর পার্বণ হল এই ভোট উৎসব। উৎসবের মতো করে এই কর্মসূচি পালনের জন্য সমস্ত নাগরিককে আহ্বান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি, অশান্তি বিহীন নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোট সন্ত্রাস রুখতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে জানায় কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ভোটে অশান্তি রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। কমিশনার জানান, রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলে রাজ্যে ভোটের পূর্ববর্তী হিংসা, ভোট চলাকালীন অশান্তির অভিযোগ জানিয়েছে। সেই কারণে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে একটিও অশান্তির ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কমিশনার এদিন জানান, রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলি থেকে যাতে কোনওরকম প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভোটের সময় রাজ্যের ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। বিশেষত, ভোটের এক সপ্তাহ আগে থেকে তাঁদের বিভিন্ন কায়দায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। সেটিকে আটকানোর জন্যেও তৎপর থাকতে হবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে। ভোটারদের উপর যাতে কোনওরকম প্রভাব না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে নজরদারি রাখা হবে।