এই সময়: দিল্লি অভিযানের পুনরাবৃত্তি হলো তৃণমূলের জনগর্জনের সভাতেও। ফের ট্রেন বাতিলের অভিযোগ সামনে আনল রাজ্যের শাসকদল। আগামী ১০ মার্চ কলকাতার ব্রিগেডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সেই কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে কলকাতায় আনার জন্য দুটি ট্রেন বুক করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ‘অপারেশনাল কনস্ট্রেইনস’-এর কারণে সেই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে সোমবার আইআরসিটিসি তৃণমূলকে জানিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু। তাঁদের দাবি, এটা বিজেপির জমিদারি। ফিউডাল লর্ডের মতো আচরণ!গত বছর দিল্লি অভিযানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে কর্মীদের নিয়ে যেতে ট্রেন বুক করেছিল তৃণমূল। শেষ মুহূর্তে সেই ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। বাসে করে কর্মী, সমর্থক এবং একশো দিন, আবাস যোজনার টাকা না পাওয়া জনতাকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তৃণমূল। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের অভিযোগ, এবারও একই ভাবে জনগর্জন সভার জন্য ট্রেন বুক করে শাসকদল। শশী জানান, তাঁরা ৮ মার্চ উত্তরবঙ্গ থেকে দুটি ট্রেন বুক করেছিলেন। একটি ট্রেনের রওনা দেওয়ার কথা ছিল আলিপুরদুয়ার থেকে। অন্যটির আসার কথা ছিল নিউ কোচবিহার থেকে। ৯ তারিখ সেই ট্রেন কলকাতা পৌঁছত। ১০ তারিখের সভা শেষে ফের তা রওনা দিত উত্তরবঙ্গে।

Abhishek Banerjee : ‘জনগর্জন’-এর পর বাংলাজুড়ে প্রচার অভিষেকের, ১৪ মার্চ শুরু কর্মসূচি: সূত্র

শশীর কথায়, ‘এর জন্য আমরা ১১ লক্ষ করে মোট ২২ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্সও করেছিলাম। গত ২ মার্চ চিঠি দিয়ে রেল জানায়, ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা রেলের অফিসারদের অনুরোধ করি। বলি যে এই ট্রেনের যাত্রীরা শুধু তৃণমূলের লোক নন। বঞ্চনার শিকার এমন বহু সাধারণ মানুষও এখানে থাকবেন। তাঁরা মৌখিক ভাবে আশ্বাস দিলেও শুক্রবার তা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছেন।’ আর এটাকেই বিজেপির ‘জমিদারি’ মানসিকতা বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। ব্রাত্যর সংযোজন, ‘দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন বা যে কোনও গণআন্দোলনকে রোখার জন্য দিল্লির জমিদাররা এটাই করে আসছেন। ওঁদের আচরণ ফিউডাল লর্ডের মতো।’

কিন্তু এরপরও বাসের ব্যবস্থা হবে। ট্রেনে করে যা লোক আনা হতো, বাসে অন্তত দ্বিগুণ মানুষকে কলকাতায় আনা হবে বলে জানান ব্রাত্য। তৃণমূলের অভিযোগ, ভয় পেয়েই বিজেপি এই কাজ করেছে। যদিও নর্থ ফ্রন্টিয়াল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘আইআরসিটিসি দুটো ট্রেন চেয়েছিল। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও খালি ট্রেনের স্টক নেই। কীসের জন্য আইআরসিটিসি চেয়েছিল সেটা আমরা জানি না। টাকাপয়সাও আমরা ওই ভাবে নিই না। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।’ বিজেপিকে কড়া ভাষায় এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version