তৃণমূলের অভিযোগ, এবারও একই ভাবে জনগর্জন সভার জন্য ট্রেন বুক করে শাসকদল। শশী জানান, তাঁরা ৮ মার্চ উত্তরবঙ্গ থেকে দুটি ট্রেন বুক করেছিলেন। একটি ট্রেনের রওনা দেওয়ার কথা ছিল আলিপুরদুয়ার থেকে। অন্যটির আসার কথা ছিল নিউ কোচবিহার থেকে। ৯ তারিখ সেই ট্রেন কলকাতা পৌঁছত। ১০ তারিখের সভা শেষে ফের তা রওনা দিত উত্তরবঙ্গে।
শশীর কথায়, ‘এর জন্য আমরা ১১ লক্ষ করে মোট ২২ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্সও করেছিলাম। গত ২ মার্চ চিঠি দিয়ে রেল জানায়, ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা রেলের অফিসারদের অনুরোধ করি। বলি যে এই ট্রেনের যাত্রীরা শুধু তৃণমূলের লোক নন। বঞ্চনার শিকার এমন বহু সাধারণ মানুষও এখানে থাকবেন। তাঁরা মৌখিক ভাবে আশ্বাস দিলেও শুক্রবার তা পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছেন।’ আর এটাকেই বিজেপির ‘জমিদারি’ মানসিকতা বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। ব্রাত্যর সংযোজন, ‘দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন বা যে কোনও গণআন্দোলনকে রোখার জন্য দিল্লির জমিদাররা এটাই করে আসছেন। ওঁদের আচরণ ফিউডাল লর্ডের মতো।’
কিন্তু এরপরও বাসের ব্যবস্থা হবে। ট্রেনে করে যা লোক আনা হতো, বাসে অন্তত দ্বিগুণ মানুষকে কলকাতায় আনা হবে বলে জানান ব্রাত্য। তৃণমূলের অভিযোগ, ভয় পেয়েই বিজেপি এই কাজ করেছে। যদিও নর্থ ফ্রন্টিয়াল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘আইআরসিটিসি দুটো ট্রেন চেয়েছিল। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও খালি ট্রেনের স্টক নেই। কীসের জন্য আইআরসিটিসি চেয়েছিল সেটা আমরা জানি না। টাকাপয়সাও আমরা ওই ভাবে নিই না। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।’ বিজেপিকে কড়া ভাষায় এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও।