এরপরেই সন্দেশখালির ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। যে শেখ শাহজাহানের জন্য ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল সেই নেতার বিরুদ্ধেই ফুসে উঠেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। একের পর এক অভিযোগ তোলা হয় সন্দেশখালির এই দোর্দন্তপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শেখ শাহাজাহান। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এরই মধ্যে ফের তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ED আধিকারিকরা। সেই সময় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নোটিশ ঝোলানো হয়। আপাতত একই অবস্থায় রয়েছে বাড়িটি। এদিন শেখ শাহজাহানের বাড়ির আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তোলা হয় ছবিও। সিবিআইয়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিন শেখ শাহজাহানের বাড়ি থেকে বার হয়ে তদন্তকারীরা গিয়েছিলেন শেখ শাহজাহানে মার্কেটে। সেখানে গিয়ে মার্কেটের বেশ কিছু ছবিও তোলা হয়। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয়েছে CBI-এর হাতে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার CBI-এর হাতে তুলে দিয়েছে। এরপরেই তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে স্থানীয় কিছু নেতার গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছিলেন মহিলারা। এরপরেই শিবপ্রসাদ হালদার, উত্তম সর্দারের মতো নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুধু উত্তম হালদার বা শিবপ্রসাদ হালদার নয় অজিত মাইতি নামক স্থানীয় এক নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। সন্দেশখালি নিয়ে তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই বঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে শোনা দিয়েছে সন্দেশখালির নামও। যদিও সন্দেশখালি নিয়ে শুধুমাত্র রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে।