সূত্রের খবর, শুধু বাংলার প্রথম সারির নেতারা নন, অন্যান্য রাজ্যের জনপ্রিয় রাজনীতিকরাও এদিনের সভায় যোগদান করতে পারে। সুস্মিতা দেবী, রিপুন বোরা, মুকুল সাংমা, রাজেশ ত্রিপাঠী, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, সাকেত গোখেল, সাগরিকা ঘোষের মতো ব্যক্তিত্বরা এদিনের সভায় উপস্থিত থাকবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে ঠিক কী বার্তা দেন, সেই দিকেই সব নজর। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে BJP। রাজ্যে তিন তিনটি সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল, দলীয় তরফে বাংলার ৩৫টি আসনে পদ্ম ফুল ফোটানোর টার্গেট দেওয়া হয়েছে বঙ্গ গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু, সেই টার্গেট বাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ৪২-এ ৪২টি আসনের হুংকার দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, তাঁর সভাগুলি থেকে তৃণমূলের জন্য ছিল তীব্র আক্রমণ। সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন মোদী। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, ‘ব্রিগেড ময়দান থেকে ১০ তারিখ সেই যাবতীয় আক্রমণের পালটা জবাব দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ এনে তিনি আগেই সরব হয়েছিলেন। সেই নিয়ে ব্রিগেডের সভা থেকে আক্রমণের সুর আরও চড়াতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন তিনি, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিন দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেই দিকেও তাকিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।
১০ মার্চের সভা যে রীতিমতো গমগম করবে, তৃণমূল নেতাদের দাবি এমনটাই। জনগর্জন সভার ট্রেলারে রয়েছে বাদশার অন্যতম হিট ছবি জওয়ান-এর গানের ব্যবহার। শাহরুখ খানের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক বাংলা জানে। এই সুপারস্টারকে ভাই মানেন তিনি। তাঁর গানের মাধ্যমেই সভার এক ঝলক দেখানো হল তৃণমূলের তরফে। রাজ্যের শাসক দলের অধিকাংশ নেতার কণ্ঠে ‘খেলা হবে’-র সুর।