ফের গ্যাসের পাইপ লাইন বসানো নিয়ে জমি জট। হুগলি জেলার চণ্ডীতলায় গ্যাসের পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল গেইল কর্তৃপক্ষকে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাটির নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হল হুগলি জেলায়।গেইল এর গ্যাস পাইপ লাইন পাতা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ দেখা যায় চণ্ডীতলার নবাবপুরের পাকুর মৌজা এবং কৃষ্ণরামপুরের জঙ্গলপাড়া মৌজা এলাকায়। জেসিবি দিয়ে জমি খুঁড়তে গেলে কাজ বন্ধ করে দেয় গ্রামবাসীরা। চণ্ডীতলা থানার পুলিশ র‍্যাফ নিয়ে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। দুই পক্ষের ঝামেলায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস নিয়ে যেতে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় অধীন সংস্থা গেইল। গেইল এর ডিজিএম কনস্ট্রাকশন সুদীপ দাস বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেল অ্যাক্ট ১৯৬২ সালের অধীন এই কাজ করা হচ্ছে। বিহার থেকে এই পাইপ লাইন হলদিয়া যাবে। বর্ধমানের পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ। হুগলিতেও প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীতলায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী জমির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। ভূমি অধিগ্রহণ দফতর থেকে শুনানি হয়।জমির দাম নির্ধারিত হয় তারপর এই কাজ হয়।পাইপ লাইন পাতা হলে জমি মালিকেরই থাকে।চাষাবাদ করতে পারে।পাইপের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা যায়না।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদেরকে জানানোই হয়নি এই পাইপ লাইন বসানোর ব্যাপারে। অনেকেই কোনও নোটিশ পাননি। আজ হঠাৎ করে দেখেন জমিতে জেসিবি নেবে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছে। তাই তারা কাজ আটকে দেন। জমির ক্ষতিপূরণ কত দেওয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি বলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ভয় দেখানো হচ্ছে জমি দেওয়ার জন্য এমনই অভিযোগ তাদের। আগে জমির ক্ষতিপূরণ সঠিক দিতে হবে। কারণ, যে জমিতে পাইপ লাইন বসছে, সেই জমির মূল্য কমে যাবে। বাড়ি ঘর বা কারখানার জন্য জমি বিক্রি করতে অসুবিধা হবে।

চিকিৎসকের মৃত্যুতে নয়া মোড়! ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি-ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ পরিবারের
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মাটির নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছে গেইল। উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে হলদিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত গেলের প্রকল্পটির কাজ করছে গেইল। এর আগেও একাধিক জায়গায় জমি জটের সমস্যায় পড়তে হয়েছে গেইলকে। জানা গিয়েছে, গেইলের থেকে গ্যাস সংগ্রহ করবে বিজিসি, আইওএজি, এইচপিসি, আইওসি, বিপিসি। এরপর এই পাঁচ সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের গ্যাস বণ্টন করবে। রান্নার এলপিজি গ্যাসের তুলনায় এই গ্যাস সরবরাহ হলে ক্রেতাদের অনেকটাই সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version