এই সময়, বর্ধমান: কীর্তি ঝা নাকি কীর্তি আজাদ! বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নাম নিয়ে বিভ্রাটে পড়েছেন খোদ তৃণমূল কর্মীরাই। প্রার্থীর সমর্থনে কোনও এলাকায় দেওয়ালে তাঁর নাম লেখা কীর্তি ঝা, কোথাও আবার কীর্তি আজাদ। তৃণমূল কর্মীরা তো সংশয়ে পড়েছেনই, প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষও। আর এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি।কীর্তিবর্ধন ভগবত ঝা আজাদ। জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়ের পুরো নামে যে এটি, তা অনেকেই জানেন না। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সমস্ত কর্মীর পক্ষে কীর্তি আজাদের পুরো নাম জানা সম্ভব নয়। কিন্তু গোটা দেশের মানুষের কাছে তিনি কীর্তি আজাদ নামেই পরিচিত। আমরাও কর্মিসভায় তাঁর এই নাম নিয়ে প্রচার চালাচ্ছি।’

কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না কারণ তিনি বাংলা জানেন না। ফলে তাঁর নামও কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারছে না। ভোটে তো এর প্রভাব পড়বেই। অবাঙালিকে প্রার্থী করে বাংলার উপরে দরদ দেখানোর কথা তৃণমূলই বলে, আমরা বলি না।’

Kirti Azad : লাগাতার মাটি কামড়ে প্রচারের উদ্যোগ, দুর্গাপুরে ঠাঁই প্রস্তুত কীর্তি আজাদের

এর জবাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘বিজেপি-র লোকেরা ছাড়া বাকি সবাই বুঝতে পারছেন যে কীর্তি আজাদ বা কীর্তি ঝা আসলে একই ব্যক্তি। ভোটে নিশ্চিত হারের ভয়ে এখন এসব কথা বলে বেরাচ্ছে বিজেপি।’

কীর্তি আজাদের নাম বিভ্রাট নিয়ে বর্ধমানের আলমগঞ্জের বাসিন্দা সহদেব সাহার বক্তব্য, ‘উনি ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন যখন তখন আমি অনেক ছোট। পরে শুনেছি ওঁর নাম কীর্তি আজাদ। কিন্তু এখন কোথাও দেখছি কীর্তি ঝা, কোথাও কীর্তিবর্ধন ঝা লেখা হচ্ছে। প্রার্থীর নাম দু-তিনরকম দেখে বিভ্রাটে পড়েছেন আমাদের মতো সাধারণ মানুষও।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version