এই সময়: যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়েছে, দু’সপ্তাহও পেরোয়নি। আর তারই মধ্যে এই আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠল যে, কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে পরিষেবার পরিসর আরও বাড়তে পারে। আজ, বৃহস্পতিবার ও কাল, শুক্রবার পর পর দু’দিন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন (রুবি মোড়) থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশ পরিদর্শন করবেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিসিআরএস)। আশা উজ্জ্বল হওয়ার প্রধান কারণ এটাই।কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত ৫.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছে ১৫ মার্চ। অরেঞ্জ লাইন প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ— নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত তার বিস্তৃতি। অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়— ওই অংশ যদিও এক বছর আগেই যাত্রী পরিবহণের জন্য পুরোপুরি তৈরি ছিল। কেবল অপেক্ষা ছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। তার দু’সপ্তাহের মাথায় ফের পরিদর্শন অরেঞ্জ লাইনের অন্য চার স্টেশনে।

কলকাতা মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিআরএস এ বার ভিআইপি বাজার, ঋত্বিক ঘটক (উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম), বরুণ সেনগুপ্ত (মাঠপুকুর) এবং বেলেঘাটা (মেট্রোপলিটন)- এই চারটি স্টেশন পরিদর্শন করবেন। অরেঞ্জ লাইন নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। ওই সংস্থার প্রযুক্তিবিদদের আশা, কলকাতা মেট্রোর অন্য স্টেশনগুলো যে নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে, অরেঞ্জ লাইনের স্টেশনগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই যুক্তিতেই, আজ ও কাল, চারটি স্টেশনে সিসিআরএস পরিদর্শনের পর সেগুলোর অনুমোদন মিলবে বলে আরভিএনএলের প্রযুক্তিবিদরা আশাবাদী।

চলতি সপ্তাহে টানা ৪ দিন বন্ধ রুবি মেট্রো, জানুন কবে

কলকাতা মেট্রোর কর্তারা জানাচ্ছেন, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মাঝখানে রয়েছে সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) এবং কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)- এই তিনটি স্টেশন। সিসিআরএস-এর অনুমোদন পেলে ওই শাখায় আরও চারটি স্টেশন যোগ হবে। সে ক্ষেত্রে, মেট্রোর কর্তাদের আশা, অরেঞ্জ লাইনের যাত্রিসংখ্যাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। কলকাতা মেট্রোর আরও বক্তব্য, বেলেঘাটা স্টেশনের পর রেকের লাইন বদল করার জায়গা রয়েছে। এর ফলে একটি লাইন দিয়ে একটি মাত্র রেক চলাচল করবে, এখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

কলকাতা মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় দফার চারটি স্টেশন বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের জন্য পুরোদস্তুর তৈরি। চিফ কমিশনারের পরিদর্শন এবং তার পর তাঁর দপ্তরের অনুমোদন পেলেই এই অংশটি অরেঞ্জ লাইনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর এটা হওয়া মানে ইএম বাইপাস ধরে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের অনেকটাই সুবিধে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version