কলকাতা মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিআরএস এ বার ভিআইপি বাজার, ঋত্বিক ঘটক (উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম), বরুণ সেনগুপ্ত (মাঠপুকুর) এবং বেলেঘাটা (মেট্রোপলিটন)- এই চারটি স্টেশন পরিদর্শন করবেন। অরেঞ্জ লাইন নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। ওই সংস্থার প্রযুক্তিবিদদের আশা, কলকাতা মেট্রোর অন্য স্টেশনগুলো যে নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে, অরেঞ্জ লাইনের স্টেশনগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই যুক্তিতেই, আজ ও কাল, চারটি স্টেশনে সিসিআরএস পরিদর্শনের পর সেগুলোর অনুমোদন মিলবে বলে আরভিএনএলের প্রযুক্তিবিদরা আশাবাদী।
কলকাতা মেট্রোর কর্তারা জানাচ্ছেন, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মাঝখানে রয়েছে সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) এবং কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)- এই তিনটি স্টেশন। সিসিআরএস-এর অনুমোদন পেলে ওই শাখায় আরও চারটি স্টেশন যোগ হবে। সে ক্ষেত্রে, মেট্রোর কর্তাদের আশা, অরেঞ্জ লাইনের যাত্রিসংখ্যাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। কলকাতা মেট্রোর আরও বক্তব্য, বেলেঘাটা স্টেশনের পর রেকের লাইন বদল করার জায়গা রয়েছে। এর ফলে একটি লাইন দিয়ে একটি মাত্র রেক চলাচল করবে, এখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
কলকাতা মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় দফার চারটি স্টেশন বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের জন্য পুরোদস্তুর তৈরি। চিফ কমিশনারের পরিদর্শন এবং তার পর তাঁর দপ্তরের অনুমোদন পেলেই এই অংশটি অরেঞ্জ লাইনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর এটা হওয়া মানে ইএম বাইপাস ধরে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁদের অনেকটাই সুবিধে।