এ দিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে এলাকার কালীমন্দির, শিবমন্দির, হরিমন্দির ও শনিমন্দিরে প্রণাম করে কিছুক্ষণের জন্য সন্দেশখালির পাত্রপাড়ায় নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন রেখা। পরে, দুপুর আড়াইটে তিনি ফের নদী পেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। তার আগে রেখা পাত্র বলেন, ‘সন্দেশখালিতে এসে বুঝলাম, আমার মা-বোন, বাবা-ভাই-দাদারা আমার সঙ্গেই আছেন। এলাকার মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। আমি খুবই খুশি।’
রেখার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীজি যে আশীর্বাদের হাত আমার মাথার উপর রেখেছেন, সেই আশীর্বাদ ছড়িয়ে পড়েছে আমার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মা-বোনেদের মুখের হাসিতে। আমি বলে বোঝাতে পারব না যে, সত্যিই আমি কতটা খুশি।’ ইতিমধ্যেই সন্দেশখালিতে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা রেখা পাত্রের সমর্থনে দেওয়াল লিখতে শুরু করেছেন। শুধু সন্দেশখালি নয় বসিরহাট লোকসভার বিভিন্ন প্রান্তেই জোর কদমে চলছে বিজেপির প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলামের সমর্থনে এ দিনই সন্দেশখালিতে বড় মিছিল করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর নেতৃত্বে ওই মিছিলে বহু মানুষ হেঁটেছেন। সরবেড়িয়া-আগারহাটি অঞ্চল তৃণমূলের ডাকে এই মিছিলে শাসক দলের পতাকা হাতে মহিলারাও শামিল হন।
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘শেখ শাজাহানের অনুপস্থিতিতেও তৃণমূলের এই মিছিল প্রমাণ করে দিলো, সন্দেশখালিতে এত কিছুর পরেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মনোবল কতটা অটুট। এ দিন কেবল সরবেড়িয়া-আগারহাটি অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা মিছিলে অংশ নিয়েছেন।’ আগামী ৩১ মার্চ তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সন্দেশখালি এলাকায় প্রচারে আসার কথা।