এই সময়, দুর্গাপুর: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে সবাইকে একজোট হয়ে ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু দুর্গাপুরে তৃণমূলের লড়াই তৃণমূলের সঙ্গেই। রবিবার সকালে পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে প্রচারে গিয়ে যা স্বচক্ষে দেখলেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তাঁর সামনেই দলের দুই গোষ্ঠীর ছেলেরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। চোখের সামনে দলের দুই গোষ্ঠীকে লড়াই করতে দেখে কিছুটা হতাশ ও ক্লান্ত হয়ে পাশের একটি আশ্রমের সিঁড়িতে মাথা নত করে বসে পড়েন কীর্তি। প্রায় আধ ঘণ্টা পর সেখান থেকে উঠে আসেন।

যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চাননি বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, ‘কে আমাকে আগে সংবর্ধনা দেবে এ নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ ছিল। কোনও হাতাহাতি হয়নি।’ একই বক্তব্য শ্রমিক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়েরও।

এদিকে, এদিনই বুদবুদে প্রচারে বেরিয়ে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের প্রার্থীকে মন্দিরে গিয়ে লুকোতে হচ্ছে মারের চোটে। আগে নিজেদের সামলাক। এবার পাবলিক দেখাবে।’

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের গন্ডগোলের সূত্রপাত দলের শ্রমিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ডিএসপি-তে ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের রাশ ছিল আমরাই গ্রামের বাসিন্দা শেখ শাহবুদ্দিন ও তাঁর অনুগামীদের হাতে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠে৷ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় শাহবুদ্দিন ও তাঁর অনুগামীদের৷

Kirti Azad : কীর্তি আজাদ কো ইতনা গুস্‌সা কিঁউ আতা হ্যায়

সংগঠনের দায়িত্ব বর্তায় আমরাই গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর রহমান ও তাঁর অনুগামীদের উপর। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। রবিবার যা প্রকাশ্যে চলে আসে কীর্তি আজাদের সামনে। এদিকে, রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে কখনও ছাগল আবার কখনও মহিষাসুর বলে কটাক্ষ করলেন কীর্তি আজাদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়। দিলীপ ঘোষ কী বলছেন তা গুরুত্ব দিচ্ছি না। উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন।’ এর পরেই বলেন, ‘সত্যযুগে একটা মহিষাসুর জন্মেছিল। এখন কলিযুগে একটা মহিষাসুর জন্মেছে। সেটা হলো দিলীপ ঘোষ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version