তিনি বলেন, ‘বিদায়ী সাংসদ পাঁচ বছরের মধ্যে পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়ে কাটান। আর বাকি তিন মাস জেগে উঠে বলেন আমাকে ভোট দিন। তিন বার সাংসদ থাকাকালীন তিনি যতটা সময় ঘুমিয়েছেন, তা কুম্ভকর্ণকেও ছাপিয়ে যায়।’ পাল্টা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কুম্ভকর্ণ হলে লোকে এমনই আমাকে তিন বার সংসদে পাঠাল? আর যিনি এত কথা বলছেন, তিনি তো মেয়র থাকার সময়ে হাওড়াকে শেষ করে দিয়ে গিয়েছেন।’
প্রচারে বেরিয়ে রথীন দাবি করেন, তাঁকে হাওড়ার মানুষ যদি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেন, তা হলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওড়া শহরে পরিবর্তন আনবেন। রথীনের কথায়, ‘হাওড়ার মানুষ এক হাজার-দেড় হাজার টাকার ভিক্ষা চায় না। হাওড়ার মানুষ কাজ চায়। আয়ুষ্মান ভারতের মতো সরকারি প্রকল্পগুলিকে জোর করে মানুষকে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। আমরা তা ফিরিয়ে দেব।’
এ ব্যাপারে বিদায়ী সাংসদ প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থীকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। তাই যা খুশি তাই বলছেন।’ তাঁর কাজ নিয়ে রথীনের কটাক্ষ প্রসঙ্গে প্রসুন বলেন, ‘আমি কী কাজ করেছি তা পার্লামেন্টের ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে। দরকার হলে ওই পোর্টাল থেকে যাবতীয় তথ্য ডাউনলোড করে তা ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাব। উনি যা অভিযোগ করছেন তার কোনও ভিত্তি নেই।’
যদিও রথীনের অভিযোগ, ‘প্রসুন গত ১৫ বছরে একবারও সংসদে হাওড়ার নাম করেননি। তাঁকে শহরে দেখা যায় না। হাওড়ার রাস্তাঘাট থেকে পুর পরিষেবা সবকিছুই মুখ থুবড়ে পড়েছে। শহর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে।’ প্রসুন দাবি করেন, বিজেপির রথীন হাওড়ার ছেলে হলেও থাকেন কলকাতায়। অথচ তিনি ২০১৩ সালের পর থেকে তিনি নিজে হাওড়ার বাসিন্দা এবং ভোটার।