এই সময়: ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ছাত্রীর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছিল কি না, সে সব জানতে চিঠি পাঠাতে চলেছে যাদবপুর থানা।পুলিশের দাবি, গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ অফিসারকে তিনি বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ চান। তাঁকে যাবতীয় আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়। পর দিন সকালে অভিযোগ জানাতে আসবেন বলে চলে যান ছাত্রীটি। কিন্তু তার পর তিনি আর যোগাযোগ করেননি বলে পুলিশের দাবি।

যদিও ইতিমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানা। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে থানায় এসে ওই ছাত্রী আইনি পরামর্শ চেয়েছিলেন। পর দিন অভিযোগ জানাবেন বলেও আর আসেননি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওই ছাত্রী যদি আসেন, আমরা তাঁর বয়ান নেব।’

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০২২-এর নভেম্বরে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। যদিও তিনি থানার দ্বারস্থ হন বছর দেড়েক বাদে, চলতি মাসের গোড়ায়। গত ৪ এপ্রিল বাংলার বিভাগীয় প্রধানকেও বিষয়টি জানান তিনি। অভিযোগ গিয়েছে ছাত্রী যে বিভাগের পড়ুয়া, তার বিভাগীয় প্রধানের কাছেও।

অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, ঘটনার রাতে বাড়ি ফিরতে সমস্যা হওয়ায় বাংলা বিভাগের এক সহপাঠীর সঙ্গে এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র ছাত্রের পালবাজারের মেসে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে তিন জন মদ্যপান করেন। পরে ওই সিনিয়র ছাত্র জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ।

Jadavpur University : ধর্ষণের নালিশ ঘিরে যাদবপুরে তোলপাড় জিবি

এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি) এবং অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে ছাত্রীর অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বলে বক্তব্য যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও পুলিশের চিঠি পাইনি। তবে, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসি এবং অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে পাঠিয়েছি। তারা কী সুপারিশ করে দেখি। তারপর তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version