বিজেপির বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই এলাকায় যান বিজেপি প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিস থেকে বিজেপির পতাকা সরিয়ে পুনরায় তৃণমূলের পতাকা লাগান। খোলা হয় পার্টি অফিসের তালা।
পার্টি অফিস দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে দেবাংশু বলেন, ‘আমরা মারামারি, হিংসায় বিশ্বাসী নই। আমরা চাই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। কিন্তু আজকে শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শে বিজেপির একদল গুন্ডা, এত স্পর্ধা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে তাঁদের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। আমরা যদি একটা চুটকি মারি, রাজ্যে একটা পার্টি অফিস থাকবে? গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে ওঁরা কত সন্ত্রাস করে আমরা দেখব?’
নন্দীগ্রাম জুড়ে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের কথা জানান তিনি। নির্বাচনে নন্দীগ্রামে কোনও অংশে বিজেপির তরফে কোনও গন্ডগোল করা হলে সেই টিম তৃণমূল কর্মীদের সাহায্যে পনেরো মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি। তবে বিজেপির অশান্তির প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার জলপাইগুড়ি জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিবাদের জেরেই সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও আর্জি জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত, এবার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।