যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কী হবে? তাঁদের জন্য বিজেপির এত উল্লাস কেন? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একাধিক অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের যেমন চাকরি গিয়েছে, তেমনই অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি হারিয়েছেন, সেই বিষয়টিও রাজ্যবাসীর দেখা উচিত, মন্তব্য ব্রাত্যর।কলকাতা হাইকোর্টের রায় কার্যত সরকারের দাবি মতোই হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অযোগ্যদের আমরাই বার করে দিতে চেয়েছিলাম। আজকে মহামান্য বিচারপতি যা রায় দিয়েছেন, আমাদের কথাতেই সিলমোহর দিলেন।’ তবে অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য প্রার্থীরাও ভুক্তভোগী হলেন, তাঁদের কী হবে? প্রশ্ন তাঁর।

ব্রাত্য বলেন, ‘এসএসসি জানিয়ে দিয়েছে আমাদের, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে চায়, আমরা তাঁদের সম্পূর্ণ আইনি সহযোগিতা করব। আইনি লড়াই আইনি পথে হবে।’ ব্রাত্যর দাবি, এই রায় থেকে বোঝা যাচ্ছে, এর মধ্যে যেমন অযোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই অনেক যোগ্য প্রার্থীরাও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২৮২ পাতার এই রায় দান করা হয়েছে সোমবার। যার কারণে শিক্ষক পদের পাশাপাশি গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

SSC Scam Verdict:’চাকরিহারাদের সকলেরই কি বেতন ফেরত ?’রায় ব্যাখা বিকাশরঞ্জনের

কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে বিরোধী দলগুলো স্বাগত জানিয়েছে। তবে শাসক দলের তরফে এই রায়কে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী বাদানুবাদ শুরু হয়েছে ভোটের মুখে।

WB SSC Recruitment Scam : দুর্নীতি করিনি, তবু আমরাও কেন চাকরিহারা?
সোমবারের রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসএসসি প্যানেল মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। সন্দেহভাজন কাউকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এসএসসি। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলো এর আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, সেইগুলি হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাড়ে তিন মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করে সোমবার মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version