এই সময়, বর্ধমান: আবারও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবার নিয়ে কুকথা বলার অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে দেওয়ানদিঘি এলাকায় চা চক্রে বেরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ অভিষেককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাঁর চোদ্দপুরুষ চোর। বাড়ির চাকর-বাকর, কুকুর-বিড়ালও চোর।’আর তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। এদিন সকালে এক সাংবাদিক দিলীপ ঘোষকে বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি-র মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দুর্নীতি। কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করতে পারে না।’

এর প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘উনি একমাত্র ভদ্রলোক আছেন। যার বাড়ির বউ থেকে মেয়ে, চাকর-বাকর সবাইকে ইডি ডাকছে। রাস্তায় সোনা নিয়ে যাচ্ছে, লোকে চোর চোর আওয়াজ দিচ্ছে। তার চোদ্দপুরুষ চোর। বাড়ির চাকর-বাকর, কুকুর-বিড়ালও চোর। এই কালচার নিয়ে এসেছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রীকে চোর-চোর শুনতে হচ্ছে ওনার জন্য। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী হবে।’

দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি বর্ধমানে প্রচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাপের নাম তুলে। রাজনৈতিক ভাবে কোনও কথা বলার নেই ওনার। ব্যক্তি আক্রমণের পথে হাঁটছেন। রাজনৈতিক শালীনতাবোধ ন্যূনতম থাকলে এ ভাবে উনি বলতেন না। আমরা কমিশনে জানিয়েছি। ওনার বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা না-নিলে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।’

অন্য দিকে, রবিবার আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা প্রধানমন্ত্রীর নাম না-করে একটি জনসভায় বলেন, ‘উনি প্রধানমন্ত্রী নন, প্রচারমন্ত্রী। ৮ হাজার কোটি টাকার বিমানে চেপে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।’ এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কারও বাপের টাকায় চড়ছে নাকি? দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকার বাইডেনের চেয়েও দামী বিমান হওয়া উচিত।’

দিলীপ আরও বলেন, ‘শত্রুঘ্ন সিনহা ও কীর্তি আজাদ জানেন না বর্ধমানের কী পরিস্থিতি। তাঁরা দু’জনেই বহিরাগত। প্রচারটা শেষ করে ভোটটা করুক। তার আগেই না রিটায়ার্ড হয়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়ছে। লড়াই করুক। শুনলাম একজন ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। একজন ভয়ে বেরোচ্ছে না। তারা কী আর রাজনীতি করবে বিজেপির সঙ্গে!’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version