আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। এবার যাবতীয় আশঙ্কা সত্যি করে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হল। IPS পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে মেলেনি ছাড়পত্র। কিন্তু, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সেই ছাড়পত্র জমা দিতে পারেননি তিনি। আর এর জন্যই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে জানান প্রার্থী। তবে তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। কড়া নাড়তে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের, এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ বীরভূমের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, IPS-এর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দেবাশিস ধরকে এখনও ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য। কিন্তু, মনোনয়ন জমার সময় তা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অভিজ্ঞ আইনজীবী বীরভূমে এসে পৌঁছেছে। তাঁদের পরামর্শ মোতাবেকই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দেবতনু ভট্টাচার্য। দেবাশিস ধর বলেন, ‘আমরা আইন পথে হাঁটব। আদালতে যাব। আজকেই আদালতে যাব। তবে আমি হতাশ নই। আমি লড়াই না করতে পারলে অন্য কেউ করব। আমরা এমনিতেও জিতব।’
কেন বাতিল হল দেবাশিস ধরের মনোনয়ন?

২০১৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায় বলা হয়েছিল, যদি কোন ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হন তাগলে বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি থেকে তিনি যে পরিষেবা নিয়েছেন গত ১০ বছরে সেই পরিষেবার জন্য তাঁর কোনও বকেয়া নেই এই ধরনের নো-ডিউস সার্টিফিকেট প্রতি এজেন্সি থেকে নিয়ে তাঁকে মনোনয়নপত্রে দাখিল করতে হবে। যদি তিনি তা না করেন তাহলে তাঁর মনোনয়ন ত্রুটিপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই সার্টিফিকেট দেবাশিস ধর জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র সাবস্টেন্সিয়াল নেচার বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য বলে জানিয়েছে কমিশন।

গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে প্রথমে BJP প্রার্থী করে মুকুটমণি অধিকারীকে। কিন্তু, নথি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তাঁর মনোনয়নও বাতিল হয়। এরপর জগন্নাথ সরকারকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এবং তিনি জয়ীও হয়েছিলেন। এখন দেখার দেবাশিস ধরের কি আদৌ আর ভোটে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version