এই সময়: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতন দেবে রাজ্য সরকার। শ্রম আইন মেনেই স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত বলেই খবর। আদালতের নির্দেশে যে ২৫,৭৫৩ জন চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা এপ্রিল মাসের বেতন পাবেন। এপ্রিলের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ। পে-প্রোরাটা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।তাই ২২ তারিখ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে যে ২৫,৭৫৩ জন চাকরি হারিয়েছেন—তাঁরা প্রত্যেকেই এপ্রিলের বেতন পাবেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে যতদিন মামলা চলবে, ততদিন যাতে চাকরিহারাদের বেতন বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা করছে রাজ্য সরকার।

হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিষয়টি বর্তমানে শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। তাই প্রকাশ্যে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু।

তবে মামলাটি যেহেতু বিচারাধীন এবং ওই শিক্ষক-কর্মীরা প্রত্যেকেই এপ্রিল মাসে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোয় কাজ করেছেন, তাই তাঁদের বেতন দেওয়া হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী, কেউ কাজ করলে, তাঁর উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হয়। সেই আইন মেনেই চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানান, স্কুলের স্যালারি বিল যে কোনও মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা। এই মামলার রায় যখন বেরিয়েছে, ততদিনে বেতন জমার কাজ হয়ে গিয়েছে। পরের মাসে স্যালারি বিল জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।

২২ তারিখের কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের যুক্তি ছিল, পাঁচ হাজার চাকরিপ্রাপকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাকি ২০ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী কেন ভুক্তভোগী হবেন? কেনই বা তাঁরা শাস্তি পাবেন? কেন সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হবে?

School Teacher : চাকরি বাতিলে স্থায়ী টিচার থাকলেন না অনেক স্কুলেই, ভরসা ক্যাজ়ুয়াল

তবে মামলা চলাকালীন রাজ্যের চাকরিহাদের বেতন দেওয়ার ভাবনা-চিন্তার প্রসঙ্গ টেনে এর সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার খাতড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওদের অনেক টাকা আছে। আমরা তো বারবার বলছি, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করুক কোর্ট। যোগ্যরা বিপাকে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য, এসএসসি যোগ্যদের তালিকা না দেওয়ার কারণে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version