নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে ২০১৬ সালের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি-এর সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি অনিময় করে যারা চাকরি পান তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
এই নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। SSC জানিয়েছিল, তারা সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে চলেছে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ চিন্তা করবেন না বা হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কেউ পাশে থাকুক বা না থাকুক আমি থাকব। সর্বোচ্চ আদালতে যাব।’
উল্লেখ্য, শনিবার বাম ছাত্র-যুব সংগঠন হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রার্থীদের নিয়ে এসএসসি ভবন অভিযান করে। করুণাময়ী পৌঁছনোর আগে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। আর এর ফলে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলের চত্বরে। বামেদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিহারারা। হাইকোর্টের রায়ে অযোগ্যদের পাশাপাশি অনেক যোগ্যদের চাকরি চলে গিয়েছে বলে দাবি করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এদিন মিছিলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয় কিনা বা সর্বোচ্চ আদালত ঠিক কী নির্দেশ দেয়, এখন সমস্ত নজর রয়েছে সেই দিকেই। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই রায় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।