উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উপরে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে। আদালত এদিনের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উল্লেখ করে জানিয়ে দেয়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে।
ফলে গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হবে বলে আশংকা আইনজীবীদের। আট সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর মাধ্যমে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এই পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা, আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা পরীক্ষার ওএমআর শিটের তথ্য হাতে পাননি।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বার করতে হবে। সিবিআইকে ডিজিটাল ডেটা বের করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিজিটাল ডেটা ফিরিয়ে আনার সুযোগ আছে। ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ারও ছাড়পত্র দেন বিচারপতি মান্থা। ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট’ খুঁজে আনতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও জানিয়েছিল ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। যদিও, ডিজিটাল ভার্সনে পুরোটা সংরক্ষিত আছে।