এদিন রেলের প্রসঙ্গ তুলেও অধীরকে খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন দিয়েছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন লাইনও করে দিয়ে গিয়েছিলাম। আপনি কিছুদিন রেলমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কী কাজ করেছেন?’ মালদার মতো এখানেও মমতা বলেন, ‘তৃণমূল বহরমপুরে কখনও ভোটে জেতেনি। মালদার দু’টো কেন্দ্রে, আর বহরমপুর কেন্দ্রে মিথ্যা কথা বলে, সিপিএম-বিজেপির সমর্থন নিয়ে বারবার জিতেছে।’
আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন দিয়েছিলাম, অনেকগুলো ট্রেন লাইনও করে দিয়ে গিয়েছিলাম। আপনি কিছুদিন রেলমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কী কাজ করেছেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা আরও বলেন, ‘পরশু বিজেপির সভাপতি বহরমপুরে এসে মিটিং করলেন, তিনি একবার ওঁর (অধীর চৌধুরী) নাম মুখে আনলেন না। কারণ বিজেপির সবচেয়ে বড়ে সাপোর্টার যে, সে হচ্ছে আপনাদের এখানকার কংগ্রেসের প্রার্থী। আমার লজ্জা হয়। এবার আর ওঁকে ভোট দেবেন না। অনেক হয়েছে, আমিও তো তো একদিন কংগ্রেস করতাম, সিপিএম-কংগ্রেসে জোট দেখে চলে এসেছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করিছলাম।’
একইসঙ্গে পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিম সংখ্যালঘু ভোট কেটে জিততে চাইছেন। আর সেই জন্যই সংখ্যালঘু ভোট যাতে ভাগাভাগি না হয়, সেই আবেদন জানাতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দাবি, একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘ইন্ডিয়া’-কে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে নতুন একটা সরকার উপহার দিতে পারে। বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে অত্যাচার করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন মমতা। পাশাপাশি দেশে বিজেপি ইভিএম বদলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। সভা থেকে সরাসরি নিজের দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জয়ী করানোর আবেদন জানান মমতা।