কয়েকদিন আগে রাজ্যে এসে বাংলাকে হিন্দুবিহীন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। আর এবার বাংলায় এসে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্থাপন করলেন রামমন্দির, রামনবমী ও সন্দেশখালির মতো ইস্যুও।

হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া

এদিন নাম না করে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। বুধবার শক্তিপুরে এক নির্বাচনী জনসভা থেকে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তোমরা ৩০ শতাংশ, আর আমরা ৭০ শতাংশ। কাজিপাড়ায় মসজিদ ভাঙলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। দু’ঘন্টার মধ্যে তোমাদের ভাগিরথীতে ফেলতে না পারলে রাজনীতি থেকে সরে যাব। বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল।’ হুময়ুন কবীরের এই মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্য রাজনীতিতে।

কী বললেন মোদী?

শুক্রবার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোদী বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব! এটা কী ধরনের ভাষা? কোন ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবেন! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে! এরা কেমন মানুষ? জয় শ্রীরাম বললে তাদের জ্বর চলে আসে। এদের রাম মন্দিরের নির্মাণে আপত্তি, রামনবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি!’

বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে! এরা কেমন মানুষ? জয় শ্রীরাম বললে তাদের জ্বর চলে আসে। এদের রাম মন্দিরের নির্মাণে আপত্তি, রামনবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি!

নরেন্দ্র মোদী

মোদীর মুখে শাহজাহানের নাম

এদিন সরাসরি শেখ শাহজাহানের নামও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। রাজ্যকে বিঁধে মোদী বলেন, ‘আমি এখানকার তৃণমূল সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, সন্দেশখালিতে দলিত বোনেদের সঙ্গে এত বড় অপরাধ হল, গোটা দেশ তদন্তের দাবি তুলল, আর তৃণমূল দোষীদের বাঁচাতে থাকল। সেটা কি শুধুমাত্র এই কারণে যে, সেই অপরাধীর নাম শাহজাহান শেখ?
তৃণমূলের ঝুলিতে ক’টি আসন , বাম-কংগ্রেসের কী পরিণতি? ভোটের ফলের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ মোদীর

উল্লেখ্যে, সংখ্যালঘু ভোট যাতে ভাগ না হয়, সেই জন্য এর আগে বিভিন্ন সভায় জনতার প্রতি আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বামেরা সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি করে আসলে বিজেপির সুবিধা করে দিতে চাইছে বলেও একাধিকবার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে এদিন এই ধরনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি পালটা হিন্দু ভোটকেই একত্রিত করার চেষ্টা করলেন? ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিকমহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version