তিনি শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, ‘অপদার্থ’ ও ‘দলবিরোধী’ কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।’
কুণালের এই পোস্ট নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর একের পর এক মন্তব্য নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, সেই সময় কুণাল ঘোষকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পালটা কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে অধীরকে।
শান্তনু সেন অধীরের পালটা বলেন, ‘ওঁকে বলব নিজের চরকায় তেল দিন। যেভাবে BJP-র তল্পিবাহকতা করছেন তা চালিয়ে যান। মানুষ এর জবাব দেবে। তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আপনার নাক না গলালেও চলবে।’
মোটের উপর কুণালকে নিয়ে করা অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে এদিন কুণাল ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলের নেতাদের থেকে বেশি কুণাল ঘোষ তৃণমূলের ক্ষতি করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে পালটা সরব হয়েছেন কুণালও। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার সুখ্যাতি করলে তা আমার জন্য লজ্জাজনক।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি BJP প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একটি রক্তদান শিবিরের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কুণাল। আর সেখানেই তাপসের প্রশংসা শোনা যায় কুণালের কণ্ঠে। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।