এই সময়, বাঁকুড়া: দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহে থাকা হরিণের ৬২টি শিং ধ্বংস করল বন দপ্তর। সোমবার দুপুরে বড়জোড়ার দেজুড়িতে একটি কারখানার চুল্লিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় শিংগুলি। সেখানে ছিলেন মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলানডাইভেল, বাঁকুড়া উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও উমর ইমাম, প্রদীপ বাউড়ি-সহ বন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। ছিলেন প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরাও।বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের রানিবাঁধ রেঞ্জ এলাকায় বনপুকুরিয়া ডিয়ারপার্কে রয়েছে বেশ কিছু সংখ্যক হরিণের বিচরণ। জানা গিয়েছে, মুকুটমণিপুর সংলগ্ন সেই ডিয়ারপার্কে বিভিন্ন সময়ে হরিণের মাথা থেকে খসে পড়া শিংগুলি উদ্ধার করে বন দপ্তর। সেগুলি রাখা হয় সেফ কাস্টডিতে। দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহে থাকা সেই একঝাঁক শিং এদিন আইন মেনেই পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) বলেন, ‘গত প্রায় ৭-৮ বছরে সংগ্রহ করা হরিণের এই ৬২টি শিং আমাদের সেফ কাস্টডিতে রাখা ছিল। প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ)-এর অনুমতি নিয়ে ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন মোতাবেক সেই শিংগুলি এদিন পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ নিয়ে কোনও ভাবেই ব্যবহার, বিক্রি ও চোরা কারবারি না হয়।

Krishna Sayar Park : সিভিয়ার হিটওয়েভ তো কী, বর্ধমানে চলছে বৃক্ষনিধন যজ্ঞ

এটা বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই আইন মেনেই বিয়োজ্ঞানসম্মত ভাবে হরিণের এই শিংগুলি এদিন পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পোড়ানোর প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। সেই ফুটেজ রাজ্যের ওয়াইল্ড লাইফ হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হবে।’ বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুড়িয়ে ফেলা হরিণের শিংগুলি ছিল ৪২ থেকে ৭২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা।

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে একই ভাবে বাঁকুড়ার তিন ডিভিশনের সংগ্রহে থাকা হাতির ৫৩টি দাঁত পুড়িয়ে ধ্বংস করেছিল বন দপ্তর। এই সব মূল্যবান হরিণের শিং গুলি বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের মুকুটমনিপুর সংলগ্ন বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক থেকে সংগ্রহ করা। এর মধ্যে মৃত হরিণের শিং যেমন আছে তেমনি প্রাকৃতিক নিয়মে হরিণের মাথা থেকে খসে পড়া শিংও আছে বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version