মঞ্চে দিব্যেন্দু বলেন, ‘আমার এখানে আসতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তার কারণ রাস্তায় আমাকে একটু দাঁড়াতে হয়েছিল, পুলিশ আমার গাড়ি আটকেছিল। নির্বাচন কমিশনের যে নাকা চেকিংয়ের বিধি আছে, তার জন্যই আটকানো হয়েছিল। সেটা তাদের কাজ তারা করবে, এটা কোনও আপত্তিজনক কাজ বলে আমি মনে করি না।’ তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলার রাজনীতিতে। এই বছর তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটের লড়াইতে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশ ভট্টাচার্য, বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বাম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরে কর্তারা। ফ্লাইং ক্লাবে গিয়ে চালান হয় তল্লাশি। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের আটকে তাঁর কপ্টার তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেন আয়কর দফতরের কর্তারা। যদিও সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তল্লাশিতে কিছুই মেলেনি। এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক এই ঘটনায় পালটা আক্রমণ করে লেখেন, ‘এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি তাদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কিছুই পাওয়া যায়নি।’
কিছুদিন আগে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কপ্টারেও চালান হয় ‘তল্লাশি’। সেই বিষয়ে একটি সংবাদ সংস্থা জানায়, নিজের কেন্দ্র কেরলের ওয়াইনাডে যাওয়ার পথে রাহুলের কপ্টারে তল্লাশি চালান নির্বাচন কর্মীরা। তবে কংগ্রেস সাংসদের কপ্টারে আয়কর তল্লাশি নয়, হানা দেয় নির্বাচন কমিশনের ‘ফ্লাইং স্কোয়াড।