২০১৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ান তাঁর স্ত্রী সাজদা আহমেদ। সেইবার তিনি বিপুল ব্যবধানে জয়যুক্ত হন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও এই কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। এদিনের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘ প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদের সহধর্মিনী সাজদা আহমেদ শুধু ভোট চাইতে নয়, বিজেপিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে আপনাদের কাছে ভোট দোয়া চাইতে এসেছেন। আপনারা সাজদা আহমেদের পাশে থেকে তাঁকে ভোট দিয়ে জেতাবেন।’
উল্লেখ্য, এর আগে সুলতান আহমেদের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, নারদা কাণ্ডের তদন্তের সময় মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। এরপর সিবিআইয়ের জেরা চলাকালীন তাঁর মানসিক চাপ আরও বাড়ে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন সরাসরি সিবিআইকে দায়ী করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের এদিনের বক্তৃতায় যথারীতি উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। সন্দেশখালির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল। এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সন্দেশখালি সন্দেশখালি হাওয়া তুলে বিজেপি ভারতবর্ষে বাংলার মানুষকে ছোট করার চেষ্টা করেছিল। ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। যদিও সন্দেশখালি প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি। বিজেপি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বাংলার ১০ কোটি মানুষকে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের কাছে ছোট করেছে।’