স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগের রাতে মিন্টু শেখ ও তাঁর এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন৷ অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন দুস্কৃতী তাঁর বাইক আটকায়৷ তিনি বাইক থামাতেই তাঁর উপরে হামলা চালান হয়। বোমা মারার পাশাপাশি শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপও মারা হয়। এদিকে বোমার শব্দ পেয়ে ছুটে আসে এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেতুগ্রাম থানার আইসি৷ এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে।
কেতুগ্রাম পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত হলেও এলাকাগতভাবে এটি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। মিন্টু শেখের খুনের ঘটনায় এদিন সিপিএম-কেই নমিশানা করেন কাজল শেখ। কাজল বলেন, ‘এলাকাটা ওই (মিন্টু শেখ) দেখত এবং আনখোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোর কমিটির সদস্যও ছিল। গতকাল রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ফিরছিল। সন্ধের সময় পরিকল্পিতভাবে ওর উপরে হামলা চালান হয়। প্রথমে ৩টে বোমা মারে, তারপর হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। সিপিএম-এর হার্মাদরা ফের বাংলার বুকে কাটাকটি খুনোখুনির রাজনীতি চালু করতে চাইছে বাংলার বুকে। মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। রাতেই পরিবারের তরফে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে, আসল তথ্য বেরোবে, অপরাধীরা ধরা পড়বে, এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।’
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফায় বাংলার ৮ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রটিও। সেই বোলপুরের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি বিধানসভা এলাকাই হল এই কেতুগ্রাম। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। তবে তারই মাঝে এই খুনের ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে।