এই সময়, বোলপুর: এক সময়ে বামেদের গড় ছিল বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র। সেখান থেকেই এ বার লড়ছেন সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট দীপঙ্কর চক্রবর্তী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীর গতিবিধি কী হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করেছেন রাত-দিন ভুলে। বর্তমানে পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, সিটু রাজ্য নেতা দীপঙ্করের লক্ষ্য, বামেদের হারানো ভোট ব্যাঙ্ক ফিরে পাওয়া। তাই প্রার্থীর প্রচারের রোড ম্যাপ তৈরি করার পাশাপাশি প্রতিদিন বিধানসভা ধরে ধরে প্রচারে জোড় দিয়েছেন তিনি। গুরুত্ব দিয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট পাড়া বৈঠকে। পার্টির পুরোনো সদস্যদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরবর্তী প্রজন্মকে পার্টিমুখী করার কাজে ফোকাস করেছেন।জেলার গত ২৫ বছরের নির্বাচনী হিসেব-নিকেশ তাঁর মুখস্থ। তাই পার্টি কোন জায়গায় দুর্বল, কোথায় প্রার্থীকে বেশি করে সময় দিতে হবে, তার সব পরিকল্পনা আগাম করে রেখেছিলেন দীপঙ্কর। প্রার্থীর সঙ্গে সব সময় না ঘুরলেও কোন দিন কোন গ্রামে প্রার্থী প্রচারে গিয়ে দুপুরে কোন পার্টিকর্মীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করবেন, তাও ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি।

বাবা বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। পরে সিপিএম পার্টিতে যোগ দেন। তাই বাম আবহেই বড় হয়েছেন দীপঙ্কর। লাভপুর থানা এলাকার ফিংতোড়ে বাড়ি তাঁর। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে পরে বোলপুর কলেজ থেকে জ়ুলজিতে স্নাতক হন। ১৯৮২ সালে পার্টি মেম্বার হন। দু’বছর পর থেকেই পার্টির হোলটাইমার হিসাবে বাড়ি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে পার্টি অফিসকে নিজের ঘর করে তোলেন।

প্রচারের আলোয় থাকেন না বিশেষ। সকাল সকাল রুটি ও কলা খেয়ে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েছেন এ ক’দিন। সারা দিন ঘুরে রাত ১০-১১টা নাগাদ ফিরেছেন পার্টি অফিসে। কোনও কোনও দিন লোকাল কমিটির অফিসেও থেকে গিয়েছেন। প্রার্থীর হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব একা হাতেই সামলেছেন। মধ্যবয়সী প্রার্থী শ্যামলী প্রধান তাই অগাধ ভরসা করেন ‘দীপঙ্করদা’র উপরে। শ্যামলী বলেন, ‘আমি এত বড় এলাকায় একা প্রচার করে উঠতে পারতাম না যদি না দীপঙ্করদা থাকতেন। তিনি পরিকল্পনা করে দিয়েছেন, সেই মতো আমরা প্রচারে বেরিয়েছি।’

দীপঙ্কর বলেন, ‘দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করার চেষ্টা করছি।’ বোলপুরে তৈরি হয়েছে ওয়ার রুম। আজ, সেখান থেকেই ভোটদানের গতিবিধির উপর নজর রাখবেন প্রার্থীর ‘সেনাপতি’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version