দেশ তথা রাজ্যে চলছে লোকসভা নির্বাচন। দেশের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড। তাই ব্যবস্থাপনাও প্রচুর। সমস্ত ব্যবস্থাপনার পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। গোট ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য বিভিন্ন রাজ্যেই প্রচুর পরিমাণে বাস নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। রাজ্যের প্রধান শহর কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার ছবিটাও একইরকম। এক্ষেত্রে আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ সহ সংলগ্ন কয়েকটি লোকসভা আসনে। তবে কমিশন ভোটের কাজে অনেক বাস নিয়ে নেওয়ায় ওই সময় শহর কলকাতায় বাসের আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের কথা ভেবে কিছু কি বিকল্প ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার?

কী বললেন মন্ত্রী?

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রচুর সরকারি-বেসরকারি বাস তুলে নিয়েছে। এখন সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাস কিনে তার বিকল্প কেউ যোগান দিতে পারে?’ এক্ষেত্র নতুন বাস কিনতে গেলে তার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৪ থেকে ৬ মাস লেগে যায় বলেই জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন সাধারণ মানুষ জানে, রাস্তায় বাসের পরিমাণ কম থাকবে। এতে তো আমাদের কিছু করার নেই!’

মনে রাখতে হবে তিলোত্তমা মহানগরীর বাসিন্দারা ছাড়াও প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা যেমন, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, এমনকী গঙ্গার অপর পাড়ের হুগলি হাওড়া বা দুই মেদিনীপুর থেকে বহু মানুষই যাতায়াত করেন কলকাতায়। আর শহরের বুকে তাঁদের চলাফেরার অন্যতম মাধ্যমই হল বাস। সেই যায়গা থেকে নির্বাচনের জন্য বাস কমে যাওয়ায় চলতি মাসের শেষের ও আগামী মাসের শুরুর দিকে কলকাতায় বাসের আকালের সম্মুখিন হতে পারেন যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে আরও সুবিধা হয় তার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এক্ষেত্রে নতুন বাসে নেতা হোক বা পুরনো বাসের সংস্কার, নেওয়া হয় বিবিধ উদ্যোগ। বর্তমানেও নতুন কিছু বাস কেনার প্রক্রিয়াতেও রয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে কিছু বাস ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। আর কিছু বাস কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে যাত্রীদের যাতায়াত আরও কিছুটা সুবিধাজনক হতে পারে বলেই আশা করছে সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version