কী বললেন মন্ত্রী?
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রচুর সরকারি-বেসরকারি বাস তুলে নিয়েছে। এখন সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাস কিনে তার বিকল্প কেউ যোগান দিতে পারে?’ এক্ষেত্র নতুন বাস কিনতে গেলে তার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৪ থেকে ৬ মাস লেগে যায় বলেই জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন সাধারণ মানুষ জানে, রাস্তায় বাসের পরিমাণ কম থাকবে। এতে তো আমাদের কিছু করার নেই!’
মনে রাখতে হবে তিলোত্তমা মহানগরীর বাসিন্দারা ছাড়াও প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা যেমন, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, এমনকী গঙ্গার অপর পাড়ের হুগলি হাওড়া বা দুই মেদিনীপুর থেকে বহু মানুষই যাতায়াত করেন কলকাতায়। আর শহরের বুকে তাঁদের চলাফেরার অন্যতম মাধ্যমই হল বাস। সেই যায়গা থেকে নির্বাচনের জন্য বাস কমে যাওয়ায় চলতি মাসের শেষের ও আগামী মাসের শুরুর দিকে কলকাতায় বাসের আকালের সম্মুখিন হতে পারেন যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে আরও সুবিধা হয় তার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এক্ষেত্রে নতুন বাসে নেতা হোক বা পুরনো বাসের সংস্কার, নেওয়া হয় বিবিধ উদ্যোগ। বর্তমানেও নতুন কিছু বাস কেনার প্রক্রিয়াতেও রয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে কিছু বাস ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। আর কিছু বাস কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে যাত্রীদের যাতায়াত আরও কিছুটা সুবিধাজনক হতে পারে বলেই আশা করছে সরকার।