২০ মে আরামবাগে নির্বাচন। শনিবার প্রচারের শেষ দিনে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাঘের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন BJP-র পাশাপাশি CPIM এবং কংগ্রেসকেও লড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

CPIM-কে আক্রমণ

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম-এর অত্যাচারে গোঘাটে মানুষ থাকতে পারত না। জমি দখল করা হত। অত্যাচারের শেষ ছিল না। আমি চমকাইতলাতে মিটিং করতে এসেছিলাম। সঙ্গে ছিল সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত পাঁজা। আমাদের মঞ্চ, মাইক ভাঙা হল। আমি অজিত পাঁজাকে উদ্ধার করেছিলাম। আমি সেই দিনগুলো ভুলে যাইনি।’

‘স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না…’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না যদি আপনাদের মেয়েটা বেঁচে না থাকত। একদিন হঠাৎ রাতে আমার কাছে ফোন আসে এক চিকিৎসকের। তিনি প্রয়াত এখন। তিনি রাত ১২টায় ফোন করে বলেন, ওরা দখল নিতে এসেছে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি। আমি বললাম তাই? এত সাহস? বাড়িটা কার নামে। বললেন বাড়িটা তো আমাদের নামে নেই। তাই ওরা টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। আমি পরের দিন মেয়রকে পাঠিয়ে বললাম, যা টাকা লাগে রাজ্য সরকার দেবে। ওই বাড়ি স্বামী বিবেকানন্দর থাকবে। আর কারও না।’

মিতালীর সমর্থনে মমতা

এদিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ মিতালী খুবই সাধারণ পরিবারের মেয়ে। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। উচ্চ শিক্ষিত। আমরা চাই আদিবাসী সমাজ, বাউড়ি সমাজ, সকল মানুষ একসঙ্গে কাজ করব।’

মোদীকে তোপ

নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঙালিরা তোমাদের পছন্দ করে না। সন্দেশখালির মহিলাদের জানতে দেননি তাঁদের হাত দিয়ে কী লিখিয়েছেন। এটা চক্রান্ত করা হয়েছিল। সন্দেশখালির মানুষ মনে রাখবে।’

এখানেই শেষ নয়। এদিন প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে বলব ‘টেক কেয়ার’। সন্দেশখালি ব্যর্থ হওয়ার পর এটাই বিজেপির পরিকল্পনা মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে দেবতাদের মূর্তি সরিয়ে বিভাজন তৈরি করা। এটা করতে দেবেন না। কোনও জায়গায় যেন না হয়। যেই জায়গায় হবে সেখানে তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মমতা

এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বাংলায় কোনও জোট নেই। বিজেপি, কংগ্রেস, বামেদের ঘোট রয়েছে। তবে সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছি। ইন্ডিয়া নাম আমার দেওয়া। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে এনআরসি, CAA হবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version