গ্রীষ্মকাল চলছে। আর গ্রীষ্মের মরশুম মানেই আম, জাম, লিচুর মতো ফলের রস আস্বাদন। তবে পরপর ঝড়বৃষ্টিতে আমের ফলন অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। ব্যতিক্রম নেই মালদা জেলাতেও। যদিও লিচু নিয়ে অবশ্য মালদায় আশার কথা শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ ফলন ভালো হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। তাহলেই এবার মালদায় লিচুর রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বলতে গেলে আমের ফলন কম হলেও এবার মালদার লিচুর ফলন রেকর্ড গড়তে পারে। কারণ চলতি মরশুমে আবহাওয়া লিচু চাষের পক্ষে অনুকূল।

লিচুর পরিচর্যায় বিশেষ গুরুত্ব

বর্তমানে মালদা জেলাজুড়ে টানা চলছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই সময় জেলার বিভিন্ন বাগানে লিচু পরিপূর্ণ হয়ে আসছে। জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই সময় বৃষ্টিপাত না হলে লিচু ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাতে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এমনকী লিচুর বোঁটায় পোকাও হতে পারে। তাই লিচু পেকে যাওয়ার ঠিক আগে সঠিক পদ্ধতিতে লিচু গাছ পরিচর্যা করার পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা। এই সময়ে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে লিচু চাষিরা লাভবান হবেন।

কী এই পরিচর্যা?

জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে এই সময় লিচু গাছের গোড়ায় নিয়মিত জল দিতে হবে। তাহলে আর লিচু ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। বৃষ্টিপাতের অভাবে এই সময় লিচুর বোঁটা কীটপতঙ্গের আক্রমণও হয়। যদি কোনও বাগানে পোকার উপদ্রব বৃদ্ধি পায় তাহলে কৃষকদের এই সময় অনুখাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। সঙ্গে নিম তেল প্রয়োগ করাও বাগানের পক্ষে খুবই ভাল।

এই বছর ১৫৩৩ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ

মালদা জেলায় চলতি মরশুমে প্রায় ১৫৩৩ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। জেলার কালিয়াচক তিনটি ব্লকে সবচেয়ে বেশি লিচু চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও রতুয়া, মানিকচক ও ইংরেজবাজার ব্লকে লিচু চাষ হয়। গত বছর মালদহ জেলায় লিচুর ফলন হয়েছিল ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এই বছর আবহাওয়া অনুকুল রয়েছে লিচু চাষের পক্ষে। তাই এবার রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করছেন জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা। তবে সমস্তটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে ক্ষতিও হতে পারে লিচু চাষের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version