রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নে বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে অবশ্যই প্রথমে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম। বিগত বাজেটে এই প্রকল্পে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শুরু থেকেই প্রচারে মেতেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই প্রচারে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরছেন। মহিলা ভোটার যে এবারেও তৃণমূলের ঝুলি ভরতে অনেকটাই সাহায্য করবে, সেটা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই প্রকল্পের কথা মুখে আনছেন। তবে, বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। একদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, বিজেপি আগামী দিনে সরকারে এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ৩০০০ করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের বিজেপি নেত্রীর কথা, আগামী তিনমাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আবার, দু’দিন আগেই অমিত শাহ এসে বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা বাড়ানো হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ধন্দে বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে এবার ভোটে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে, সেটা দেখা গেল এদিন হুগলির শ্রীরামপুরের ভোটেও। হুগলি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের থেকেও এই ভোটে অনেকটাই বেশি নজর দিয়েছেন নিজে। স্বাভাবিকভাবেই, এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী তিনি। বুথগুলিতে তৃণমূল কর্মীদের সক্রিয়তা এবং উৎসাহ সেটা আরও প্রমাণ করে দেয়। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছেন কবীর শঙ্কর বসু অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। ভোটের দিন গোটা লোকসভা কেন্দ্রে দুজনকেই কার্যত ‘ভ্যানিশ’ হতে দেখা গিয়েছে। কবীরশঙ্কর বসু জগদীশপুর, চামরাইল প্রভৃতি এলাকায় এবং দীপ্সিতা ধর ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রতে বেশিরভাগ সময়ে সীমাবদ্ধ ছিলেন। শেষ হাসি হাসবে কে? উত্তর মিলবে ৪ জুন।