সকাল থেকেই লম্বা লাইন মহিলাদের। বুথে বুথে মহিলাদের ভোটে অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটে মহিলাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই মুখে হাসি ফোটাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। অনেকেই বলছেন, এবার আসল খেলাটা খেলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।হুগলির জেলার শ্রীরামপুরের সর্বত্র সকাল থেকেই দেখা গেল একই চিত্র। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন মহিলা ভোটাররা। সকালে রোদের তেজ কম থাকায় ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। দুপুরের দিকে সেটা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হলে সংখ্যাটা আরোই কমে যায়। বৃষ্টি থামতে ফের স্বমহিমায় ভোটের লাইনে ভিড় জমতে থাকে মহিলাদের। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭১.১৮ শতাংশ।

রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নে বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে অবশ্যই প্রথমে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম। বিগত বাজেটে এই প্রকল্পে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শুরু থেকেই প্রচারে মেতেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই প্রচারে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরছেন। মহিলা ভোটার যে এবারেও তৃণমূলের ঝুলি ভরতে অনেকটাই সাহায্য করবে, সেটা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ভোট দিতে সকাল থেকেই পাণ্ডুয়ায় লম্বা লাইন

অন্যদিকে, মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই প্রকল্পের কথা মুখে আনছেন। তবে, বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। একদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, বিজেপি আগামী দিনে সরকারে এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ৩০০০ করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের বিজেপি নেত্রীর কথা, আগামী তিনমাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আবার, দু’দিন আগেই অমিত শাহ এসে বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা বাড়ানো হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ধন্দে বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা।

Serampore Lok Sabha : কিছুটা ‘নিষ্প্রভ’ দীপ্সিতা, শ্রীরামপুরে দিনভর ফাইনাল টাচ কল্যাণের
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে এবার ভোটে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে, সেটা দেখা গেল এদিন হুগলির শ্রীরামপুরের ভোটেও। হুগলি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের থেকেও এই ভোটে অনেকটাই বেশি নজর দিয়েছেন নিজে। স্বাভাবিকভাবেই, এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী তিনি। বুথগুলিতে তৃণমূল কর্মীদের সক্রিয়তা এবং উৎসাহ সেটা আরও প্রমাণ করে দেয়। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছেন কবীর শঙ্কর বসু অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। ভোটের দিন গোটা লোকসভা কেন্দ্রে দুজনকেই কার্যত ‘ভ্যানিশ’ হতে দেখা গিয়েছে। কবীরশঙ্কর বসু জগদীশপুর, চামরাইল প্রভৃতি এলাকায় এবং দীপ্সিতা ধর ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রতে বেশিরভাগ সময়ে সীমাবদ্ধ ছিলেন। শেষ হাসি হাসবে কে? উত্তর মিলবে ৪ জুন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version