বিজেপি প্রার্থীর আপ্তসহায়কের বাড়িতে পুলিশি হানার পর, এবার গ্রেফতার গেরুয়া শিবিরের এক নেত। এবারেও ঘটনাস্থল সেই পশ্চিম মেদিনীপুর। গ্রেফতার করা হল তারকেশ্বর রাও ওরফে শ্রী রাও নামে খড়গপুরের এক বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে। মেদিনীপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরেই রাতে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্র খবর। মারামারির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য গোটা জেলাজুড়ে।জানা গিয়েছে, গত রাতে বিজেপির খড়গপুর সদর ২ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি তারকেশ্বর রাওকে ওরফে শ্রী রাওয়ের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই বিষয়ে তারকেশ্বর রাওয়ের পরিবারের এক সদস্যা জানান, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পুলিশ খড়গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে আসে। তারকেশ্বর বাড়িতে আছেন কি না জানতে চায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকে সকালে আসার কথা বললে তারা প্রথমে পাঁচিল টপকে ও পরে দরজা ভেঙে বাড়ির উঠোনে ঢোকে। এরপর দরজা ভেঙে পুলিশ ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং তারকেশ্বর রাওকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। গ্রেফতারের পর তাঁকে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

এদিকে গত রাতেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়তের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই দাসপুর থেকে খড়গপুরে পৌঁছন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তালবাগিচায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক তমোঘ্ন দে-এর বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। এই খবর পাওয়ার পর রাতেই তালবাগিচায় পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এরপর পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। হিরণের অভিযোগ, কী কারণে এই অভিযান তা জানায়নি পুলিশ। রেইড চালানোর অনুমতি সংক্রান্ত কাগজ দেখতে চাইলে, তাও পুলিশ দেখায়নি বলেই দাবি করেন হিরণ।

এই বিষয়ে রীতিমতো অভিযোগ করে হিরণ বলেন, ‘আমি ঘাটাল লোকসভার প্রার্থী, আমার সেক্রেটারির মা অসুস্থ, হার্টের রোগী, তাঁর বাড়িতে রাত সাড়ে ৩টের সময় পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে, কিন্তু তদন্তের কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না।’

এখানেই শেষ নয়, মঙ্গলবারই কোলাঘাটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভাড়া বাড়িতেও পুলিশি হানা চলে। দুই মেদিনূপুরে নির্বাচনের আগে একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version