ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে বড়সড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। আর এবার হাইকোর্টের সেই রায়ের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে খড়দায় সভা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তাঁর রায় আমি মানি না। ২৬ হাজার শিক্ষককে যখন বাতিল করা হয়েছিল, তখনও আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই বলছি আজকে, যে রায় দিয়েছেন, যেই দিয়ে থাকুন, নাম বলব না, জাজমেন্ট নিয়ে বলা যায়, বিজেপির রায় এটা, আমরা মানব না। ওবিসি সংরক্ষণ চলছে চলবে।’মমতা জানান, বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে ওবিসি রিজার্ভেশন করা হয়েছিল। এটি চলছে ২০১২ থেকে। আগেও আদালতে এর আগেও এই নিয়ে মামলা হয়ে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সমালোচনা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা তপশিলিদের রিজার্ভেশন কেড়ে নেবে, প্রধানমন্ত্রী এই কথা কখনও বলতে পারেন? তিনি বলতে পারেন না, কারণ এটা সাংবিধানিক অধিকার।’

বুধবারই ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি তালিকা বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। যদিও ২০১০ সালের আগের ঘোষিত ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের শংসাপত্র বৈধ ও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন তাদের চাকরি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের।

আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশন আইন ১৯৯৩ অনুযায়ী OBC-দের নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা বিধানসভায় পেশ করে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ২০১০ সালের আগে যে যে গোষ্ঠীগুলিকে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলি বৈধ থাকছে বলেও জানিয়েছে আদালত।

এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই সময়ের মধ্যে যে ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে তা পুরোপুরি আইন মেনে বানানো হয়নি। যেহেতু চাকরির ক্ষেত্রে একটা সংরক্ষণ থাকে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কি এই নির্দেশ কোনও কাজ করবে? এই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে, যাঁরা এই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন বা চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়াতে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশের ফলে আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version