প্রদ্যুত্ দাস: একটি ক্লাসরুমেই চলছে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস। চিত্রটা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না! ঝড়ে গাছ পরে ক্লাস রুম ক্ষতিগ্রস্ত! দীর্ঘ এক বছর পার হলেও তা সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। ভাঙা স্কুলের প্রাচীর, সীমানার ভেতরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের বোতল! চূড়ান্ত পরিকাঠামোহীন এই ছবি জলপাইগুড়ি বেলাকোবা সিএস.২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলের এই দশায় স্কুলের থেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে অভিভাবকেরা। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীও তলানিতে।
এক সময় এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল একশো ছুঁইছুঁই। বতর্মানে তলানিতে ঠেকে সেই সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে ২৩ জনে। নেপথ্য স্কুলের অব্যবস্থা ও পরিকাঠামোহীণ দায়ী বলে অভিযোগ। গত বছর কালবৈশাখীর দাপটে গাছ পরে পুরোপুরি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলের দুটি ক্লাসরুম। দীর্ঘ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের নামগন্ধ টুকুও পযর্ন্ত নেই। ফলে বতর্মানে একটি ক্লাসরুমেই চলছে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস।
স্কুলের সীমানা প্রাচীরও ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে সন্ধ্যা নামতেই স্কুলের ভিতরে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ বলে অভিযোগ। বহুবার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই অব্যবস্থার মধ্য দিয়েই স্কুল চালাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এমতাবস্থায় স্কুলের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুলের থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অভিভাবকেরা।
অন্যদিকে, সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। দ্রুত সমাধান না হলে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও তলানিতে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সমস্যার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছেন। তবে এই স্কুলের সাথে তুলনা করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)