এই সময়, আসানসোল: সরকার কিংবা সরকারপোষিত কোনও স্কুলের শিক্ষকরা প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার এস পোন্নাবলম। শুক্রবার গণনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের জারি করা এই নির্দেশের কথা শোনান জেলাশাসক। নতুন নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের ইলেকশন এজেন্ট ও তাঁদের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে জেলাশাসক জানিয়ে দেন গণনার দিন কোন নিয়ম মানতে হবে তাঁদের। জেলাশাসক বলেন, ‘কমিশন নতুন নির্দেশিকায় বলেছে, সরকার ও সরকারপোষিত (গভর্নমেন্ট এডেড বা স্পনসর্ড) স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারবেন না। স্কুলের কর্মীরাও এই সুযোগ পাবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করা হলে কড়া শাস্তির কথা বলেছে কমিশন।’

এই নির্দেশ প্রসঙ্গে তৃণমূল শিক্ষা সেলের নেতা রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা তুঘলকি সিদ্ধান্ত। একজন শিক্ষক যদি ভোটে প্রার্থী হতে পারেন, তাহলে দলের কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে তিনি গণনাকেন্দ্রে থাকতে পারবেন না কেন? আমরা অনেকেই অতীতে একাধিক নির্বাচনে এই দায়িত্ব পালন করেছি।’ বৈঠক শেষে তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা জানান, সরকারি সাম্মানিক পাওয়া জনপ্রতিনিধিরাও গণনায় থাকতে পারবেন না।

গণনায় এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না শিক্ষকদের, নির্দেশ কমিশনের
বৈঠকে জেলাশাসক জানান, গণনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে কেন্দ্রে চলে আসতে হবে এজেন্টদের। সাড়ে পাঁচটার সময়ে স্ট্রংরুম থেকে গণনা টেবিলে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যাওয়া হবে। ফলে তার আগেই হাজির হতে হবে সবাইকে। তার পর শুরু হবে গণনা। এই গণনা শেষ হলে শুরু হবে ইভিএম কাউন্টিং। সকাল আটটা থেকে সেই কাউন্টিং শুরু হবে।

সব ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় ছাড় দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৪ রাউন্ড গোনা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে দুপুর দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে গণনা। এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে, বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনও গাড়ি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version