দেবাশিস দাস
একদা বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত যাদবপুরে ক্যাম্প অফিস ভাঙা হলেও ‘হামলাকারী’দের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জানাতেও ভয় পেয়ে গেল সিপিএম। তবে সিপিএম কর্মীদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এদিন অবশ্য রাস্তায় দেখা গিয়েছে।বাঘাযতীন মোড় লাগোয়া কিশোর চক্রের গলির মুখে চেয়ার, টেবিল এবং ভোটার তালিকা নিয়ে আলাদা ভাবে সকাল থেকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং এসইউসিআই (সি) এর কর্মীরা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দুই দলের মাঝখানে থাকা সিপিএমের ক্যাম্প অফিসের টেবিল উল্টানো। চেয়ারও ভাঙা।

কারা ঘটাল এই ঘটনা? উপস্থিত সিপিএম কর্মীরা জানান, ছ’সাতজন ছেলে বাইক নিয়ে এসে এই ভাঙচুর করেছে কারা তা তো বুঝতেই পারছেন।’ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের দেখে সিপিএম কর্মীরা নিরাপত্তা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক ক্ষুব্ধ সিপিএম কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা কারও নামে অভিযোগ জানাতে চান? তাহলে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের সুপারিশ করব।’

প্রবীণ এক সিপিএম নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘কাউকে তো চিনি না। এরা অজ্ঞাত পরিচয়।’ এরপর সঙ্কীর্ণ গলিতে শুরু হয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা লন্ডভন্ড ক্যাম্প অফিস গুছিয়ে ফের তাঁদের বসার ব্যবস্থা করে দেন। প্রবীণ ওই সিপিএম নেতা তাঁদের জানিয়ে দেন, অভিযোগ জানানোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেন এত ভয়? এই নিয়ে জানতে চাইলে খানিক দূরে সুকান্ত সেতুর মুখে এক সিপিএম নেতা বলেন,‘চার জুন ভোটের ফল বেরোবে। তরপরেও তো সকলকে পাড়ায় থাকতে হবে। তাই ভেবে চিন্তে কাজ করাই ভালো।’

Lok Sabha Election 2024 : ষষ্ঠীকে টপকে ভোট-বিজয়ায় বাড়ল হিংসা! গ্রেপ্তার দুই, আহত পুলিশও

সারা দিন ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরে দিনের শেষে ওই তল্লাটের সিপিএমের এক এরিয়া কমিটির সম্পাদক বলেন, ‘ভয় একটা রোগ। তাই দশ শতাংশের বেশি ভোট বাঁচাতে পারলাম না।’ এ দিন সকাল সাডে় আটটা নাগাদ টালিগঞ্জের পিজিএইচ শাহ রোড সংলগ্ন সত্যরঞ্জন খাস্তগীর স্কুলে বুথে ভোট দেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এরপরে তিনি ভাঙরের দিকে রওনা দেন। এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যও সারা দিন বিভিন্ন বুথে চক্কর দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version