রাত ১২টা নাগাদ আচমকাই সজোরে পিকআপ ভ্যান এসে ধাক্কা মারে। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় গড়বেতা থানার পুলিশ। পিক-আপের ধাক্কায় জখম চারজনকেই চিকিৎসার জন্য চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। বাকি জখম দু’জনের মধ্যে একজন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত দুই বন্ধুর নাম শুভ দাস ও বিক্রম মণ্ডল। আহতদের মধ্যে সৌরভ দাস মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মিন্টু সরকার নামের আর এক বন্ধু কলকাতায় চিকিৎসাধীন। জানা যায়, আমশোল গ্রামে দেবাশিস মুর্শিদ নামের এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল আজ রবিবার। দেবাশিস কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। আজ রবিবার সকালে তাঁর কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা। তাই রাত্রি ১২ টা বাজার কিছু আগে দেবাশিসের বাড়ির সামনে রাজ্য সড়কের ধারে কেক মোমবাতি সাজিয়ে অপেক্ষায় ছিল অপর চার বন্ধু শুভ দাস, বিক্রম মণ্ডল, মিন্টু সরকার ও সৌরভ দাস। বন্ধুকে জন্মদিনের সারপ্রাইজ দেবে বলেই এই আয়োজন বলে জানা যায়।
গ্রামেরই একজনকে দিয়ে ‘বার্থডে বয়’ দেবাশিস ডাকতে পাঠিয়ে রাস্তার ধারে কেক মোমবাতি সাজিয়ে যখন অপেক্ষায় চার বন্ধু, তখনই রসকুণ্ডু থেকে চন্দ্রকোণার দিকে দ্রুত গতিতে আসা একটি পিক-আপ ভ্যান সজোরে ধাক্কা মারে চারজনকেই। চারজনেই রাস্তা থেকে ছিটকে যায়। ছিটকে পড়ে বন্ধুর জন্য সাজানো কেক, মোমবাতি। ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। খবর যায় গড়বেতা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া আমশোল গ্রামে।