এই সময়: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে কলকাতার কয়েকটি আবাসনে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শনিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আবাসনগুলিতে তৃণমূলের কম ভোট পাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখার। এমনকী, সমস্যা থাকলে প্রয়োজনে আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলার কথাও বলেছেন তিনি।এদিন কালীঘাটে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার জয়ী প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। সম্প্রতি উল্টোডাঙার তিনটি আবাসনে ডিজে সহ বাইক-অটো নিয়ে তৃণমূলের মিছিলের কারণে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই আবহেই শনিবার সকালে বেলেঘাটার একটি বহুতলের সামনে আবর্জনার স্তূপ ফেলা নিয়েও নতুন করে অভিযোগ সামনে এসেছে।

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন আবাসনে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মাড়োয়ারি ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘ভোট মেটার পর থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু আবাসনে নানাভাবে বিরক্ত করা হচ্ছে। বাসিন্দারা কাকে ভোট দেবেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’

এদিকে, শনিবার সকালে বেলেঘাটা মেন রোডের একটি আবাসনের সামনে ময়লার স্তূপ দেখে অবাক হয়ে যান বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে সে সব ছবি শেয়ার করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুরসভা ময়লা সরিয়ে দিয়েছে। ডিজিকে দেখতে বলা হয়েছে, কেন সেখানে ময়লা ফেলা হলো? তৃণমূল এই কাজ সমর্থন করে না।’

যে সব আবাসনে মিছিলের নামে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেরও হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কমিশনের এক মুখপাত্র শনিবার বলেন, ‘কে কাকে ভোট দিয়েছে, অন্য কারও তা জানার কথা নয়। সন্দেহের বশে হামলা হলে পুলিশের তা দেখার কথা।’ বিরোধী দলের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা এখনও চলছে বলে এদিন দাবি করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ফের সুদীপ, বিশেষ দায়িত্বে কল্যাণ-কাকলি

তিনি বলেন, ‘ভোটে হারার পরে বিরোধী দলের কর্মীদের উপর হামলা করাটা তৃণমূলের সংস্কৃতি।’ একই অভিযোগ করেছেন উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও। তিনি বলেন,‘ভোট মেটার পরেও দিকে দিকে আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় পেলে মারধরও করা হচ্ছে।’

যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যে সব হামলার ঘটনা ঘটছে তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সবগুলি ব্যক্তিগত বিষয় বলে আমার মনে হয়। পুলিশকে বলব,ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version