ভেড়ি এবং জমি দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে ইডি। সেই সব তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করে শাহজাহানের জামিন রুখতে কোনও ত্রুটি রাখেননি তদন্তকারী অফিসারেরা। এ বার চার্জশিটে তাঁরা দাবি করলেন, বিএলআরও-র উপস্থিতিতে গ্রামবাসীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি-ভেড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা। এবং তা হয়েছে, অভিযুক্তের ডেরাতেই।ইডি সূত্রের খবর, সন্দেশখালির বাসিন্দা ইসমাইল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তাঁর জবানবন্দিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বয়ানে বলেছেন, শাহজাহানের অনুগামীরা জমি-ভেড়ি হাতানোর জন্য তাঁর পরিবারকেও রেয়াত করেনি। নির্যাতনের শিকার হন তাঁর বয়স্ক মা। ইসমাইল ইডি অফিসারদের জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে মায়ের নামে সাত শতকের (পাঁচ কাঠার একটু কম) একটি জমি ছিল। ওই জমির উপরে নজর পড়ে শাহজাহান বাহিনীর।

জমি আত্মসাৎ করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান শাহজাহানের অনুগামীরা। ইসমাইল মোল্লা জানান, তিনি যখন কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন,শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ জিয়াউদ্দিন মোল্লা, মজিদ মোল্লা, আফুদ্দিন গোলদার এবং মাফুসার মোল্লা তাঁর বাড়িতে আসেন। মায়ের নামে থাকা জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। জমি লিখে দিতে অস্বীকার করায় বাড়ির লোকেদের হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে দু’জনকেই জোর করে শাহাজাহানের ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অস্ত্র সরাতেই ইডি-র উপর হামলার ছক সন্দেশখালিতে, চার্জশিটে দাবি CBI-এর

আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, জয়াউদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে এসে ইসমাইল মোল্লাকেও ওই জমি লিখে দিতে হুমকি দেয়। তাতে কাজ না হওয়ায়, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় সেখান থেকে ইসমাইলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শাহজাহানের ডেরাতে।

এর পর, জোর করে ইসমাইলের মায়ের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় দলিলে। পরে, তাঁর দাদারও সই নেওয়া হয়েছিল। ইসমাইলের অভিযোগ, শাহজাহান ওই জমির মালিক হতে তাঁর বাহিনীকে যেমন কাজে লাগিয়েছিল, তেমনই আবার গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল বিএলআরও (ব্লক ল্যান্ড অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস অফিসার)-এর উপস্থিতিতেই।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version