এর মধ্যে রয়েছেন কল্যাণ চৌবে, তমোঘ্ন ঘোষ, শিবাজি সিংহ রায়ের নাম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে মানিকতলা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কল্যাণ চৌবেকে। যদিও তিনি জয়ী হতে পারেননি। তিনি অবশ্য পরে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করেছিলেন ওই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলেছিলেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে প্রায় দুই বছর এই মামলাটি চলার পর এর জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। পরে হাইকোর্টে এই মামলা প্রত্যাহারের আর্জিও জানান কল্যাণ। তিনি বর্তমানে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদের আসীন। ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগরে মুহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন কল্যাণ। জয়ীও কাঙ্খিত জয় সেই বারও আসেনি।
মানিকতলা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। এদিকে, উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের নাম নিয়েও চর্চা চলছে বিস্তর। তাঁর রাজনৈতিক হাতেখড়ি আমহার্স্ট স্ট্রিটের সিটি কলেজে। বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করার পর কর্পোরেটে কাজ করলেও পরে রাজনীতির ময়দানেই ফিরে এসেছেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি উত্তর কলকাতায় রাজনীতি করে এসেছেন। তরুণ এই মুখ নিয়েও চর্চা নেহাত কম নয়। এছাড়াও জল্পনা চলছে শিবাজি সিংহ রায়কে নিয়েও। তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বেলগাছিয়ায় বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, জয়ের স্বাদ পাননি।
অন্যদিকে, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে কৃষ্ণ কল্য়াণী অত্যন্ত বড় নাম। তিনি রাজনীতিকের পাশাপাশি একজন শিল্পপতি। সমাজসেবা মূলক কাজের জন্যও পরিচিত এলাকায়। ফলে তাঁর সামনে কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেবে বিজেপি? এখন তাই দেখার। জেলা রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে বিজেপির জেলা কোষাধক্ষ্য বিভাস বিশ্বাস এবং স্থানীয় নেতা মানস কুমার ঘোষের নাম উঠে আসছে।
রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণি অধিকারীর বিপরীতে এক মহিলা মুখ নিয়ে চর্চা চলছে। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাগদা কেন্দ্রের দিকেও রয়েছে নজর। সেখানে কোনও মতুয়া মুখকে প্রার্থী করা হয় কিনা, সেই দিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে প্রার্থী নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জল্পনা চললেও কোনও নামই চূড়ান্ত নয় জানাচ্ছেন দলীয় নেতারা। বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সঠিক সময়ে দল প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে।’ উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বাংলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র বরানগর এবং ভগবানগোলাতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুটিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল।