মহেশতলাতে একটি চারতলা আবাসনে আচমকাই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল বাড়ির একটি দেওয়াল। শনিবার ওই বহুতলে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ধরে যায় বাড়িতে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ঘটনায় গুরুতর আহত বাড়ির মালিক সহ আরও অনেকেই। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। মোতায়েন করা রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারপাড়ায়। সাত সকালে একটি আবাসনের চারতলায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে ভেঙে নীচে পড়ে ওই বহুতলের দেওয়ালের একাংশ। এদিকে পথচলতি মানুষের গায়ে ওই দেওয়ালের অংশ সজোরে লাগায় আহত হন অনেকেই।

ঘটনায় একাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের কথায়, তাঁরা আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পান দু’বার। এসে দেখেন বাড়ির দেওয়ার একটি অংশ ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর জখম ছিলেন বাড়ির মালিক সহ আরও তিনজন। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনাস্থল পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও সেখানে এসে পৌঁছেছেন।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক গুরুতর জখম। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল? কেন এই বিস্ফোরণ? পুলিশ সূত্রে খবর, আগুন আয়ত্তে আসার পর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব।

ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই আবাসনের বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘এই ধরনের কোনও ঘটনার সম্মুখীন অতীতে হইনি। আবাসনটিতে অনেকগুলি পরিবার থাকে। চারতলায় এই ঘটনা ঘটেছে। দুটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কী ভাবে তা হল! এখনও বুঝতে পারছি না। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হোক, এমনটাই চাইছি।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। শপিং মলের কাচ ভেঙে ধোঁয়া বার করা হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version