জানা গিয়েছে, গুসকরা শহরের ইটাচাঁদার বাসিন্দা হাসমত শেখের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কেরলে কাজ করেন। মেয়ে সুনয়নী খাতুনের বিয়ের পর বিউটি খাতুন শেখ তাঁর স্বামীর কাছে গিয়েছিলেন। হাসমত শিলিগুড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেখানেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ধরার কথা ছিল। ট্রেনটি আজ না থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বামী হাসমত সেখ স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করেন। ফোনে না পেয়ে দুঃশ্চিন্তা শুরু করেন তিনি। এরপর দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি হাসপাতালে যান হাসমত। স্ত্রীর দেহটি দেখতে পেয়ে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের পর মৃতার দেহ শিলিগুড়ি থেকে গুসকরায় নিয়ে আসা হচ্ছে। স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন স্বামী। শোকের আবহে গোটা পরিবার।
গৃহবধূর কন্যা বলেন, ‘মা বাবার কাছে গিয়েছিল। আজকে বাড়ি আসার কথা ছিল। ঈদের কারণে আজকে বাড়ি ফিরছিল মা। সকালের দিকে আমায় ফোনে বলল ট্রেনে উঠব। পরে দুপুরের দিকে ফোন করে আমার বাবা খবর দিল।’ গৃহবধূর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা পরিবার।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কেড়ে নিল আটটি মানুষের প্রাণ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শিয়ালদায় আসার পথে ফাঁসিদেওয়া এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ট্রেনটি। পেছনে এসে একটি মালগাড়ি ধাক্কা মারার কারণে পেছনের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা শূন্যে ঝুলতে থাকে। রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে রেলের তরফে।