রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মানসকুমার ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর তারপরেই প্রকাশ্যে এল বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের পদত্যাগপত্র। ইতিমধ্যেই সেই পদত্যাগপত্র ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণেই এই তিনি অব্যাহতি চেয়েছেন বলে জানান বাসুদেব সরকার।রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দিলেন জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। বাসুদের সরকারের ওই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। যদিও প্রার্থীর নাম ঘোষণার সঙ্গে তাঁর পদত্যাগের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি বাসুদেব সরকারের। অন্যদিকে বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

এই বিষয়ে বাসুদেব সরকার জানান, তাঁর কিছু পারিবারিক ও নিজস্ব সমস্যার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি একজন সাধারণ দলীয় কর্মী হিসেবেই কাজ করে যেতে চান। বাসুদেব আরও জানান, এই জেলায় অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করেছেন দলীয় কর্মীরা। আর সেই কারণে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারান সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূলের তোলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন বিষয় নেই। একেবারেই নিজস্ব কারণে তাঁর এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, বিজেপি দল একটি সাংগঠনিক দল। এখানে ব্যক্তি বিশেষের সিদ্ধান্ত বলে কিছু হয় না, দলগতভাবে যে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই এই গোষ্ঠী কোন্দলের প্রসঙ্গকে তিনি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ। প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া, তিনি সবে মাত্র বিষয়টি জানতে পেরেছেন। গোটা বিষয়টি না জেনে কোনও মন্তব্য করবেন না।

অপরদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, ‘এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্বের ফল। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে আসছেন, তাঁদের জায়গা না দিয়ে সদ্য অন্য দল থেকে আগত লোকেরা জায়গা পাচ্ছেন। সেই কারণেই এই ঘটনা।’ অরিন্দমের আরও দাবি, আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে গেরুয়া শিবিরের পুরনো নেতাকর্মীরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। একইসঙ্গে এই নির্বাচনে তৃণমূল বিপুলভাবে জয় পাবে বলেও দাবি করেন অরিন্দম সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version